কলকাতা: সোমবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে বিশৃঙ্খলার প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যপালের। বুধবার টুইটে জগদীপ ধনখড় লেখেন, বিধানসভার মতো পবিত্র স্থানে রাজ্যপালকে ঘেরাও বা অবরোধের প্রশংসা করার পিছনে কোনও যুক্তি থাকতে পারে না।
মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগের দিন বিধানসভায় বিশৃঙ্খলার কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, সোমবার বিজেপি গণতন্ত্রকে হত্যার চক্রান্ত করেছিল। আমাদের প্রমীলা বাহিনী সাহসিকতার সঙ্গে সেই চক্রান্ত রুখে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই ভাষণের ভিডিয়ো টুইটে জুরে দিয়ে রাজ্যপাল লেখেন, এ আমরা কোথায় যাচ্ছি এবং কেন? বিধানসভায় বিশৃঙ্খলার প্রশংসা করছেন মুখ্যমন্ত্রী! গণতন্ত্রকে প্রষ্ফুটিত করার জন্য আমাদের একযোগে কাজ করা উচিত।
সোমবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের উদ্বোধনের দিন ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ঘিরে শাসক ও বিরোধী পক্ষের বিধায়কদের তুমুল বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভের কারণে রাজ্যপাল তাঁর উদ্বোধনী ভাষণ করতেই পারেননি। প্রায় এক ঘণ্টা ওই অবস্থা চলার পর রাজ্যপাল কোনও মতে ভাষণের প্রথম ও শেষ লাইনটি পড়ে সাংবিধানিক আনুষ্ঠানিকতা রক্ষা করেন।
https://twitter.com/jdhankhar1/status/1501430704365703169?t=sw1Eyz2AEJHasa6ikx3w4g&s=08
আরও পড়ুন: Utsashree Portal HC Case: মিথ্যে তথ্য, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ আদালতের
ওই দিনের ঘটনা নিয়ে আলোচনার জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চিঠি দেন রাজ্যপাল। ধনখড় জানান, তিনদিনের মধ্যে তিনি আলোচনায় বসতে চান। সোমবারের ঘটনার নিন্দা করে ওই চিঠিতে রাজ্যপাল একাধিক মহিলা মন্ত্রী ও বিধায়কের নাম করে অভিযোগ করেন, তাঁরা তাঁকে ঘিরে রেখেছিলেন। তাঁকে নানা ভাবে বাধাও দেওয়া হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, খোদ পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পরিবর্তে তাঁর উদ্দেশে ছাপার অযোগ্য ভাষা ব্যবহার করেছেন।
রাজ্যপালের ওই চিঠি পেয়েই তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন অধ্যক্ষ। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপালের এই চিঠি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। বিমান জানিয়ে দেন, তিনদিনের মধ্যে তাঁর পক্ষে আলোচনায় বসা সম্ভব নয়।