কলকাতা: কীভাবে দুষ্কৃতীরা এত বেপরোয়া হয়ে উঠছে? কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নে মুখে পড়ল রাজ্য পুলিশ। মঙ্গলবার জমি সংক্রান্ত এক মামলায় মামলকারী ও তাঁর পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে অক্ষম হওয়ায় পুলিশকে ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। অভিযোগ, সোমবার রাতে মামলাকারী স্বামীকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। প্রসঙ্গত, আদালত মামলাকারী এবং তাঁর পরিবারকে নিরাপত্তার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
প্রোমোটারের সঙ্গে জমি নিয়ে গন্ডগোলে ৭ অগাস্ট উলুবেরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায়, হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশে জানান, পুলিশকে শান্তি শৃঙ্খলা বজার রাখতে হবে। ওই মহিলা এবং তাঁর পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হবে। অভিযোগ, গতকাল রাতে মামলাকারীর স্বামীকে পিটিয়ে খুন করা হয়।
আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের জন্য স্বস্তির খবর, দাম কমতে চলেছে রান্নার গ্যাসের!
এদিন আদালতে ওই মহিলার আইনজীবী জানান, “আগের নির্দেশ কার্যকর করার জন্য বা নিরাপত্তার বিষয়টি দেখার জন্য জুনিয়র তদন্তকারী অফিসারকে ফোন করলে তিনি ক্যাজুয়ালি বলেন, এমন নির্দেশ সব ক্ষেত্রেই দেয় হাইকোর্ট।” তার পরেই বিচারপতি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, মানুষটি মারা গেলেন। এবার কি হবে?
বিচারপতি আরও বলেন, “নিরাপত্তা দিতে বলা বা এলাকায় নজরদারি রাখতে বলার মানে সেখানে প্রয়োজন আছে,বলেই কোর্ট বলেছে। সব ক্ষেত্রে একই নির্দেশ দেয় কোর্ট। এর মানে এই নয় যে সেটা হালকা ভাবে নেবে পুলিশ। মামলাকারীর আইনজীবী হলফনামা দিয়ে জানাবেন তার সঙ্গে আইও-র কী কী কথোপকথন হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ সুপার এবং উলুবেড়িয়ার আইসিকে সোমবার হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ৪ সেপ্টেম্বর ওই দুই পুলিশ কর্তার ব্যক্তিগত হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মামলাকারীর প্রাথমিক রিপোর্ট এবং তাঁর স্বামী খুন হয়ে যাওয়া পর যে রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছিল, তা জমা দিতে বলা হয়েছে পুলিশকে।