কলকাতা : গড়িয়াহাট জোড়া খুন-কাণ্ডে নয়া মোড়। অভিযুক্তদের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে উদ্ধার খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র। উদ্ধার হয়েছে মৃত সুবীর চাকীর হিরের আংটিও। এছাড়াও সুবীরের গাড়িচালকের মোবাইলও পাওয়া গিয়েছে। কয়েকটি ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড মিলেছে। তবে, কোন জায়গা থেকে এগুলো উদ্ধার হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শনিবার সকালেই ডায়মন্ড হারবারের ক্রিক খালে ডুবুরি নামিয়েছিল কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তবে, এখনও পর্যন্ত সুবীর চাকীর মোবাইল ফোন মেলেনি। পুলিশের অনুমান, মৃত সুবীর চাকির মোবাইল উদ্ধার হলে সেখান থেকে আরও কিছু তথ্য মিলতে পারে। মোবাইল ফোন উদ্ধার হলে সেখান থেকে কল রেকর্ড দেখে আরও কিছু তথ্য পেতে পারে বলে ধারনা পুলিশের। ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কি না তাও জানা যেতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।
খুনের পরিকল্পনা নিয়েই কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকীর বাড়িতে যায় অভিযুক্তরা। প্রচুর পরিমাণে টাকা সঙ্গে নিয়ে ঘোরেন সুবীর চাকী। এই ধারনা করেই বাড়িতে হানা। অভিযুক্তরা ভেবেছিল বাড়িতেই মিলবে প্রচুর টাকা, গয়না। ভিকি সহ ধৃতদের জেরায় মিলেছে তথ্য, দাবি পুলিশের।
আরও পড়ুন : গড়িয়াহাট-কাণ্ডে অভিযুক্তের মোবাইল তল্লাশি
সুবীর চাকী হত্যা-কাণ্ডে ডায়মন্ড হারবার থেকে মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড শাখা। এই হত্যা-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ভিকি হালদার ও তার মা মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশ জানতে পারে, খুন করে ডায়মন্ড হারবারে ফিরে এসে মোবাইল ফোনগুলি ডায়মন্ড হারবারের মাঝের পোলের উপর থেকে ক্রিক খালে ফেলে দিয়েছিল তারা।
