কলকাতা: নেতাজির (Netaji) মৃত্যুরহস্যের (Death Mystery) উদঘাটন চেয়ে ফের জনস্বার্থ মামলা (PIL) দায়ের হল। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলাটি দায়ের করেছেন সূর্যনীল দাস নামে এক ব্যক্তি। জাতীয় নায়ক শ্রদ্ধেয় সুভাষচন্দ্র বসুর (Subhash Chandra Bose) মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য দেওয়া হোক, দাবি মামলাকারীর। জনস্বার্থ মামলার সপক্ষে তিনটি যুক্তি বা পয়েন্ট তুলে ধরেছেন সূর্যনীল।
মামলাকারী বলছেন, নেতাজি সুভাষচন্দ্র সন্দেহাতীতভাবে এক মহান ব্যক্তিত্ব ছিলেন। গোটা পৃথিবীতেই তিনি আলোকরশ্মির মতো। ব্রিটিশ শাসনের (British Rule) সময় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জাতীয়তাবাদের (Nationalism) স্ফুলিঙ্গ জাগিয়েছিলেন তিনিই। ভারতের ইতিহাসে একমাত্র নেতাজির মৃত্যু নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েছে। আজও তাঁর মৃত্যুর নিশ্চিত সময় জানা নেই সাধারণ মানুষের।
সূর্যনীল বলছেন, ভারত সরকারের (Indian Government) তরফে বিভিন্ন কমিশন নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের রিপোর্ট মানুষের হৃদয় এবং আবেগ ছুঁতে পারেনি। নেতাজির মৃত্যু যে ১৯৪৫ সালে বিমান দুর্ঘটনায় হয়েছিল, এই তথ্য জনমানসকে বিশ্বাস করানো যায়নি। বিতর্ক রয়েছে আরও।
তিন নম্বর পয়েন্টে গুমনামি বাবা (Gumnami Baba) নিয়ে বিতর্কের উল্লেখ করেছেন সূর্যনীল। ফৈজাবাদ শহরে তিন বছর ধরে বাস করা গুমনামি বাবা ওরফে ভগবানজির সঙ্গে সম্পর্ক জোড়া হয়েছে। বহু পত্রপত্রিকা এবং সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, গুমনামি বাবাই আসলে নেতাজি। এই সাধুর মৃত্যু হয়েছিল ১৯৮৫ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর।
গুমনামি বাবার মৃত্যুর পর থেকে পরের বছর নেতাজির জন্মদিন পর্যন্ত ১৭টি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল নর্দার্ন নামক এক পত্রিকায়। ‘দ্য ম্যান অফ মিস্ট্রি’ শীর্ষক সেই নিবন্ধে বার বার নেতাজি সম্পর্কিত তথ্য উল্লেখ করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে নেতাজির মৃত্যুরহস্য উদঘাটন তাই যথাযথ আর সে কারণেই এই জনস্বার্থ মামলা, দাবি সূর্যনীলের।