কলকাতা : প্যারোলে মুক্তি পাওয়া বন্দিদের এখনই জেলে ফেরানো যাবে না। রাজ্যকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে, স্বস্তি বাড়ল প্যারোলে মুক্তি পাওয়া রাজ্যের প্রায় ৩ হাজার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দির।
দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ওই বন্দিদের জেলে ফিরিয়ে আনা যাবে না বলে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে খুশি প্যারোলে মুক্তি পাওয়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা। এদের মধ্যে রয়েছে টাডা আইনে অভিযুক্ত বউবাজার বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল মাথা রশিদ খানও। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের এই নয়া নির্দেশ রাজ্য কারা দফতরের কাছে এসে পৌঁছেছে।
এই বিষয়ে রাজ্য কারা দফতরের অতিরিক্ত ডিজি পীযূষ পান্ডে বলেন,’কোভিড পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আমরা প্রায় ৩ হাজার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে বিভিন্ন জেল থেকে মুক্তি দিয়েছিলাম এক মাসের জন্য। মুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যেতে আমরা তাদের আবার যে যার জেলে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলাম। তার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ আমাদের কাছে এসে পৌঁছেছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে আমাদের সেই প্রস্তুতির কাজ আপাতত বন্ধ রেখেছি। সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী নিদের্শ যা দেবে সেটাই আমরা পালন করব।’
আরও পড়ুন – তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি, ভিত্তিহীন বলল তৃণমূল
কোভিড পরিস্থিতির কারণে প্যারোলে মুক্তির দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলে বিক্ষোভ বাড়ছিল। এই দাবিতে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল দমদম সেন্ট্রাল জেল। তার জের গিয়ে পৌঁছে ছিল প্রেসিডেন্সি জেলেও। তাদের কথা মাথায় রেখে কোভিড পরিস্থিতির জন্য শুধুমাত্র যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রায় ৩ হাজার বন্দিকে প্যারোলে মুক্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন – কৃষকদের নিয়ে চিন্তা নেই, ব্রাহ্মণদের ভোট সবসময় বিজেপির পক্ষে : বিজেপি নেতা
সেই নির্দেশ মেনে একে একে বন্দিদের একমাসের জন্য মুক্তি দিয়েছিল রাজ্য। শেষ দফায় মোট ৬৪ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। পরে মুক্তির মেয়াদ আরও কিছু দিন বাড়ানো হয়েছিল। এবার কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। জানাল নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাজাপ্রাপ্তদের জেলে ফেরানো যাবে না। আর তাতেই চিন্তা বাড়ল রাজ্য প্রশাসনের।