পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান নিয়ে ফের জনস্বার্থ মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। পুজো অনুদান নিয়ে এটি চতুর্থ জনস্বার্থ মামলা। আবেদনকারীর আইনজীবী শমীক বাগচি জানান, প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার মামলার শুনানি হওয়ার কথা। আদালত সূত্রের খবর, এই মামলার বিষয়বস্তু অন্য মামলাগুলির থেকে একটু আলাদা।
মামলায় প্রশ্ন রাখা হয়েছে, রাজ্য বাজেটে অনুদানের জন্য কোনও টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছিল কি না। যদি না থাকে, তা হলে সরকার কেমন করে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেবে। আবেদনকারীর বক্তব্য, বিদ্যুতের বিলে যে ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা, তা গৃহস্থদের ক্ষেত্রেও দেওয়া হোক। তাঁর আরও বক্তব্য, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ২০১৬ সালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড চালু করে। কিন্তু তাতে প্রাইভেট নার্সিংহোমগুলির কোটি কোটি টাকা বাকি। অনেকে কার্ড নিতে চাইছে না। সরকার এই ব্যাপারে উদাসীন।
আমফানের ত্রাণের কোটি কোটি টাকা বাকি। চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা নিয়মিত ভাতা পাচ্ছেন না। অথচ পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওযার বেলায় সরকার দরাজ। মামলাকারী আবেদন জানান, কিছু ক্লাবের পুজোর বাজেট কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। তারা এই অনুদান পাওয়ার যোগ্য কি না, আদালত তা খতিয়ে দেখুক। বর্ধমানের চিকিতসক শান্তনু দে মামলাটি করেছেন।