কলকাতা: বুধবারে আরজি করের কাণ্ডের প্রতিবাদে উপস্থিত হয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা-মাও। আরজি করে গিয়ে নির্যাতিতার বাবা বেশ কয়েকটি প্রশ্ন তোলেন। তারা বলেন, হাসপাতালের তরফে কীভাবে বলা হল, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন? সে দিন মেয়ের মুখ দেখতে আমাদের সাড়ে তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল। ওর মা ওদের হাতে-পায়ে ধরেছেন। কেন ময়নাতদন্ত করতে দেরি হল? রাত পৌনে ১২টায় কেন এফআইআর হল? পুলিশ কেন অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করল?
তিনি আরও বলেন, আমরা দেহ রেখে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ৩০০-৪০০ পুলিশ টালা থানা ঘিরে রেখেছিল। আমরা সেখান থেকে ফিরে যাই। দেহ দাহ করতে দিতে বাধ্য হই আমরা। শ্মশানের টাকাও নেওয়া হল না আমার থেকে। আমার মেয়ে জানল, বাপি এই টাকাটাও দিতে পারল না। সাংবাদিক বৈঠক করে বারবার মিথ্যা বলছে পুলিশ।
বিচার পেতে আলোর পথে নামে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে আরজি করে। বুধবার প্রথমে আহ্বান ছিল, সবাই যেন ঘরের আলো নিভিয়ে মোমের আলোয় প্রতিবাদ জানান। পরে তা বদলে যায়। মোমের আলোয় আলোর পথ তৈরি করার ডাক আসে বিভিন্ন মহল থেকে।
আরজি কর হাসপাতালে ধর্নামঞ্চের সামনে আলো নেভানো হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ঠিক রাত ৯টায় কর্মসূচি শুরু করলেন তাঁরা। আলো নিভিয়ে জ্বালানো হয়েছে মোমবাতি এবং প্রদীপ।
আরজি করের জরুরি বিভাগের সামনে মোমবাতি জ্বালানো হয়েছে। রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ।
আরজি করের মেন গে বন্ধ করে দেওয়া হল সিআইএসএফের তরফে। হাসপাতালের সামনে বাড়ছে ভিড়। দুমিনিট নীরবতা পালন করলেন সকলে।