কলকাতা: অপেক্ষার আর কয়েক মাসের। বাংলায় নতুন বছরের শুরুতেই রাজ্যবাসীকে নবনির্মিত টালা ব্রিজ উপহার দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে। কোভিডকালে সংক্রমণ বৃদ্ধি হলেও ব্রিজ নির্মাণের কাজে কোনও খামতি নেই। করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধকে মান্যতা দিয়ে ব্রিজ তৈরির কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ত্রুটি ধরা পড়ায় পুরনো টালা ব্রিজ ভেঙে নতুন করে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। ৮০০ মিটার লম্বা এবং ১৯ মিটার মিটার চওড়া চারলেনের এই ব্রিজ তৈরিতে রাজ্য সরকারের খরচ প্রায় ৪৬৫ কোটি টাকা। ব্রিজের নীচ দিয়ে যাওয়া রেললাইনের উপরের অংশ নির্মাণের জন্য রেলের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। ৯ ডিসেম্বর সেই অনুমতি মেলায় জোরকদমে শুরু হয়েছে ব্রিজ তৈরির কাজ।
প্রাশাসনিক আধিকারিকদের কথা অনুয়ারী, অতিমারি চললেও ব্রিজ নির্মাণের কাজে ভাটা পড়েনি। উত্তর ২৪ পরগনা এবং উত্তর শহরতলির সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই টালা ব্রিজ। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নেই পুরনো সমস্ত ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর সেতুটি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: UP Election 2022: ‘সেফ সিট’ গোরক্ষপুর শহর থেকে প্রার্থী হচ্ছেন যোগী আদিত্যনাথ
১ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ থেকে টালা সেতুতে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়। এর কিছুদিন পরেই ওই ব্রিজ ভাঙার কাজও শুরু করা হয়েছিল। উত্তর শহরতলির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নতুন ব্রিজ তৈরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প পথেই গাড়ি চলাচল করছে। বিকল্প রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপ থাকার ফলে যানজটের রুটিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানজটের সমস্যায় জেরবার উত্তর কলকাতা ও শহরতলির বিরাট অংশের মানুষ।
এই বিরাট সংখ্যক মানুষের সমস্যা সমাধানের কথা চিন্তা করেই দ্রুত গতিতে টালা ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা ও ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা করোনা সংক্রমণের মধ্যেও নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলার নতুন বছরের শুরুতে রাজ্যবাসীকে নবনির্মিত টালা ব্রিজ উপহার দিতে।