কলকাতা: মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায় কেমিক্যাল কারখানায় ভয়াবহ আগুন লাগে। ওই কারখানার পাশে একটি তেলের কারখানা ছাড়াও ছোট বড় অনেক কারখানা রয়েছে। সকাল ১১ টা নাগাদ ওই রাসায়নিক কারখানায় আগুন লাগে।
প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে রাসায়নিকের ড্রাম ফেটে আহত হয়েছেন ৫ জন। দমকলের ১১ টি ইঞ্জিন গেলেও দুপুর পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ইতিমধ্যেই ২টি কারখানা সম্পূর্ণ ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে। কার্যত জতুগৃহের চেহারা নিয়েছে গোটা এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আনা হয়েছে ফোম, রোবট, জেসিবি। ভাঙা হচ্ছে পাঁচিল। তবে, এখনও আয়ত্তে আনা যায়নি আগুন।
আরও পড়ুন- মহেশতলার রাসায়নিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১১টি ইঞ্জিন
সারা দেশের মধ্যে কলকাতায় প্রথম আগুন নেভাতে রোবট ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। গত বছর থেকে আগুন নেভাতে এই রোবটের ব্যবহার শুরু হয়েছে।
কী এই রোবট?
ধাতু দিয়ে তৈরি হয় এই রোবট। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে যখন দমকল আধিকারিকরা আগুনের কাছে পৌঁছতে পারেন না তখন এই ধাতব রোবট ব্যবহার করা হয়। এক কথায় একে রোব-কারও বলা হয়। এই রোবটগুলি ব্যাটারিচালিত হয়। বিধ্বংসী আগুনের মধ্যে যে কোনও পরিস্থিতিতে গিয়ে কাজ করতে পারে রোবট। দূর থেকে আধিকারিকরা রিমোটের মাধ্যমে পরিচালনা করেন। এই রোবটের মধ্যে হোস-পাইপ লাগানো থাকে। ওই পাইপ দিয়েই আগুনে জল দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- মহেশতলার কারখানায় আগুন নেভাতে ফোম, আনা হচ্ছে রোবট
মহেশতলায় আগুন লাগার চার ঘণ্টা পর নিয়ে আসা হয় রোবট। আগুনের উত্তাপ এতোটাই ছিল যে দমকল কর্মীরা কারখানার ভিতরে ঢুকতে পারছিলেন না। তাছাড়া দেওয়ালের একাংশেও ফাটল ধরে গিয়েছিল। রোবট নিয়ে এসে আগুনের খুব কাছে গিয়ে জল দেওয়ার কাজ শুরু হয়। রোবটের মাধ্যমে এর আগে নিউব্যারাকপুরের ওষুধের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন নেভানো হয়েছে। পরিস্থিতি যখন হাতের বাইরে চলে যায় তখন মূলত এই রোবটের সাহায্য নেয় দমকল।