কলকাতা: ওয়েব সিরিজের কথা বলে জোর করে তাঁকে দিয়ে পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় করানো হয়েছে (pornngraphy shoot newtown)। এই মর্মে নিউটাউন থানায় সোমবার অভিযোগ দায়ের করেও শেষ পর্যন্ত পরিবারের চাপে পিছিয়ে গেলেন অভিযোগকারী যুবক (porn actor male)। যুবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিনভর পুলিস তাঁকে সঙ্গে নিয়ে নিউটাউনের কয়েক’টি হোটেল ও গেস্ট হাউসে যায়, তদন্তের প্রয়োজনে (porn shooting place)। কিন্তু তার পরেই অভিযোগকারী যুবক ১৮০ ডিগ্রি অবস্থান বদল করে, অভিযোগ তুলে নেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শোভাবাজারের ওই যুবক সোমবার জেনারেল ডায়েরি করেছিলেন। কোনও এফআইআর তিনি করেননি। তার পরেও অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে এদিন তদন্ত শুরু করেছিল পুলিস (Porn Racket New Town)।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শোভাবাজারের ওই যুবক বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি হোক, এটা আমার পরিবারের কেউ চাইছেন না। আমার পর্ন ভিডিয়োটি যাতে মুছে দেওয়া হয়, তার জন্য পুলিসের কাছে আর্জি জানিয়ে একটা জেনারেল ডায়েরি করেছিলাম। অশ্লীল ভিডিয়োট সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে।’
অভিযোগকারী ভিডিয়োটি মুছে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করলেও কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি বলেই বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ঘুরছে ভিডিয়োটি। সাংবাদিকরা এ নিয়ে পালটা প্রশ্ন করতে বিরক্তি প্রকাশ করেন ওই যুবক। তাঁর আর্জি, ‘প্লিজ, আপনারা এসব বন্ধ করুন। আমাদের পরিবারের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। বাবা-মা’র আপত্তি রয়েছে। আমি চাই না বিষয়টি নিয়ে আর জলঘোলা হোক।’
আরও পড়ুন: নেতাজির চোখে ভাঙা সানগ্লাস, ধিক্কার শিলিগুড়ি জুড়ে
শোভাবাজারের বাসিন্দা এই যুবকের অভিযোগ অনুযায়ী, ওয়েব সিরিজে শ্যুটিংয়ের নাম করে নিউটাউনে বিশ্ব বাংলা গেটের সামনে এক গেস্ট হাউসে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁকে দিয়ে জোর করে একটি পর্ন ছবির শ্যুটিং করানো হয়। ভিডিয়োটি সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়লে, ওই যুবক আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। পরে, পর্ন ছবির পরিচালক ছাড়াও আরও এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে বেলঘরিয়া থানায় তিনি জিডি করেন।
পরিস্থিতির শিকার অভিযোগকারীর দাবি, বেলঘরিয়ার নাসিব আক্তার নামে জনৈক এক ব্যক্তি তাঁকে নিউটাউনের গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানকার একটি রুমে পর্নোগ্রাফি করতে বাধ্য করেন। এদিন অভিযোগকারীকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে শেষ পর্যন্ত গেস্ট হাউসটি চিহ্নিত করে পুলিস। কিন্তু তার পরেই যুবকের ভোলবদল।