Thursday, June 26, 2025
Homeকলকাতাশান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা ইউনেস্কোর

শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা ইউনেস্কোর

ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতিতে বাংলার মুকুটে নতুন পালক

Follow Us :

কলকাতা: মুকুটে নয়া পালক। বিশ্ব হেরিটেজের (World Heritage) তকমা পেল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন (Santiniketan)। রবিবার এই ঘোষণা করে টুইট করা হয় ইউনেস্কোর (Unesco) তরফে। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সেন্টারের উপদেষ্টা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মনুমেন্টস অ্যান্ড সাইটসের তরফে শান্তিনিকেতনের নাম সুপারিশ করা হয়েছিল আগেই। অবশেষে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পেল শান্তিনিকেতন। এই ঘোষণার পরই উৎসবের আবহ শান্তিনিকেতনে। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী এদিন টুইট করে জানান, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে আমরা গত ১২ বছরে এর পরিকাঠামোতে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নতি ঘটিয়েছে বিশ্ব এখন ঐতিহ্যবাহী স্থানের গৌরবকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যারা বাংলাকে, ঠাকুরকে এবং তাঁর ভ্রাতৃত্বের বার্তাগুলিকে ভালবাসেন তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ। জয় বাংলা, প্রণাম গুরুদেবকে।’ পাশাপাশি, রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের তরফে তাদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে ‘বাঙালির গর্বের মুহূর্ত।’

উল্লেখ্য, ২০২১-এর অগাস্ট মাসে বিশ্বভারতী শান্তিনিকেতন পরিদর্শনে আসে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির একটি প্রতিনিধিদল। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতেই ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় নাম উঠল শান্তিনিকেতনের। বিশ্বভারতীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেন তাঁরা। বিশ্বভারতীর পুরাতত্ত্ব বিভাগ এর কাজ প্রায় এক বছর ধরে চলার পর নবরূপে বিশ্বভারতীকে উপস্থাপনা করে কর্তৃপক্ষ। সংরক্ষণ ও সংস্কারের পরিকল্পনা প্রয়োগকে প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরাই ছিল বিশ্বভারতীর প্রধান উদ্দেশ্য। অবশেষে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের তালিকায় নাম উঠল বিশ্বভারতীর।

১৯২১ সালে শান্তিনিকেতনে মানবতার ঐক্যকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়’। জানা যায়, ১৮৬৩ সালে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রায়পুরের জমিদার ভুবন মোহন সিংহের কাছ থেকে দুটি ছাতিম গাছসহ ২০ একর জমি ইজারায় কিনেছিলেন। তিনি একটি অতিথিশালা তৈরি করেছিলেন এখানে। নাম রেখেছিল ‘শান্তিনিকেতন’। সেখান থেকেই গোটা অঞ্চলটি শান্তিনিকেতন হিসেবে পরিচিত পায় সকলের কাছে। জ্ঞান, সংস্কৃতি, শিল্পের তীর্থস্থান হয়ে ওঠে এই শান্তিনিকেতন। পরবর্তীকালে ১৭ বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে আসেন। ১৯০১ সালে রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে একটি ব্রহ্মাচার্জ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।

RELATED ARTICLES

Most Popular