কলম্বো: শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ছেলেখেলা ভারতের। এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ১০ উইকেটে হারাল ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫০ রানে অল আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। মাত্র ৬ ওভার এক বলে কোনও উইকেট না হারিয়ে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। এরইসঙ্গে অষ্টম বারের জন্য এশিয়ার সেরা হল টিম ইন্ডিয়া। অনবদ্য পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা হন মহম্মদ সিরাজ।
মহম্মদ সিরাজ- এই নাম অনেকদিন মনে রাখবে বর্তমান শ্রীলঙ্কা দল। ফাইনালের দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। কিন্তু সিরাজ টর্নেডো যে গ্রাস করবে রবিবারের প্রেমদাসা স্টেডিয়ামকে সেটা কেউই আশা করেননি। এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন। আন্তর্জাতিক একদিনের ক্রিকেটে এক ওভারে ৪ উইকেট নেওয়ার কীর্তি অর্জন করেন। একইসঙ্গে দ্রুততম ৫ উইকেট নেওয়ার নজিরও স্থাপন করেন। শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডারকে একাই ভেঙে দেন এই ভারতীয় সিমার। সিরাজের সৌজন্যে মাত্র ৫০ রানে অল আউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। মহম্মদ সিরাজের বোলিং ফিগার- ৭-১-২১-৬।
ভারতের হয়ে এর আগে এক দিনের ক্রিকেটে কোনও বোলার এক ওভারে চারটি উইকেট নেননি। হ্যাটট্রিক অনেকের থাকলেও এই নজির ছিল না। সেই তালিকায় নাম তুলে ফেললেন সিরাজ।
ওয়ান ডে ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এত দিন সেরা বোলিং ছিল পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিসের। ১৯৯০ সালে শারজায় একটি ম্যাচে ২৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সেই নজির টপকে গেলেন সিরাজ। তিনি ২১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন।
এক দিনের ক্রিকেটে ভারতের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার হওয়ার সুযোগ ছিল সিরাজের সামনে। আর একটি উইকেট নিলেই সেটা সম্ভব হত। কিন্তু ৬টির বেশি উইকেট নিতে না পারায় তা সম্ভব হল না। ভারতের হয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বোলারেরই ইনিংসে ৭ বা তার বেশি উইকেট নেই।
এশিয়া কাপে সেরা বোলিং ফিগারও অল্পের জন্যে অধরা থেকে গেল সিরাজের। ২০০৮ সালে ভারতের বিরুদ্ধে করাচিতে ১৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অজন্তা মেন্ডিস। তার পরেই রয়েছেন সিরাজ। এক্ষেত্রেও আর একটি উইকেট পেলে সেরা বোলিং ফিগার হতে পারত তাঁর।
মহম্মদ সিরাজ ছাড়া হার্দিক পান্ডিয়া নেন ৩ উইকেট। ঈশান কিষাণ(২৩) এবং শুভমান গিল(২৭) অপরাজিত থেকে যান শেষ পর্যন্ত।