গুয়াহাটি : অসমের জোড়হাটে চিতাবাঘের আক্রমণে তিন বনকর্মী সহ মোট তেরো জন আহত হয়েছেন। বনকর্মীদের সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে জোরহাটের চেনজিয়ান এলাকায় রেন ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ( Research Institute)কাছে। কিন্তু বনকর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পরেও চিতাবাঘটিকে (Leopard) বাগে আনা যায়নি। বরং বনকর্মীদের হাত ফস্কে পালিয়ে গিয়েছে বাঘটি।
জোড়হাটের পুলিশ সুপার মোহনলাল মীনা জানিয়েছেন, চেনজিয়ান এলাকায় সোমবার সকালে হানা দেয় একটি চিতাবাঘ। রিসার্চ ইনস্টিটিউট লাগোয়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে প্রথমে সে এক মহিলাকে আক্রমণ করে। মহিলার দুই মেয়েও চিতাবাঘের হামলায় ঘায়েল হয়েছেন। তাঁদের গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
চিতাবাঘ লোকালয়ে বেরিয়ে এসেছে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বনকর্মীরা (Forest Staff)। ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বাঘটিকে নিরস্ত করার চেষ্টা চালান তাঁরা। কিন্তু বন দফতরের গাড়ি দেখে সে দিকেই হামলা (Attack) করে চিতাবাঘ। বনকর্মীদের গাড়ির উপরে লাফিয়ে পড়ে সে। তাঁর আক্রমণে আহত (Injured) হন গাড়িতে থাকা তিনজন বনকর্মী। চিতাবাঘটিকে ভয় দেখানোর জন্য পর পর ৭ রাউন্ড গুলি চালান বনকর্মীরা। গুলির শব্দে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্ত টিতাবাঘটির আচরণ স্বাভাবিক (Normal) নয়। কারণ এভাবে চিতাবাঘ কোনও কারণ ছাড়াই মানুষকে আক্রমণ করে না। একটি গাড়ির উপর লাফিয়ে পড়েছিল বাঘটি। তবে গাড়ির কাচ নামানো থাকায় নতুন করে সেখানে কোনও বিপদ হয়নি। এরপর এক লাফে বাঘটি জঙ্গলে (Forest) চলে যায়।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রিসার্চ ইনস্টিটিউটের লাগোয়া অন্তত ২০০ বিঘার একটি বনাঞ্চল আছে। আর চিতাবাঘটি ওই বনাঞ্চলের মধ্যে ঘোরাফেরা করত। একটি ভিডিয়োও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে যাতে দেখা যাচ্ছে যে চিতাবাঘটি কাঁটাতারের বেড়া টপকে এসে গাড়ির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। চিতাবাঘের ওই অস্বাভাবিক আচরণের কারণ খতিয়ে দেখছেন বন দফতরের বিশেষজ্ঞরা।