কলকাতা: মঙ্গলবার বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের উপর হামলা ও পিসিআর ভ্যানে আগুন লাগানোর ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে এখনও অধরা কয়েকজন। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় কলকাতা ও হাওড়ায়। এমজি রোডে পুলিশের পিসিআর ভ্যানে আগুন লাগানোর পাশাপাশি মারধরের অভিযোগও ওঠে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেই ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। ঘটনাস্থল থেকে সেই সিসিটিভি সংগ্রহ করে অভিযুক্তদের শনাক্ত করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় মঙ্গলবারই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের উপর হামলায় মূল অভিযুক্ত রবি কান্ত-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত এখনও অধরা।
আরও পড়ুন: BJP supporters attack Kolkata Police: বিজেপি সমর্থকদের মারে জখম কলকাতার দুই পুলিশ অফিসার
লালবাজার সূত্রের খবর, বিজেপি কর্মীদের হাতে নিগৃহীত ওই পুলিশ অফিসারের নাম দেবজিত চট্টোপাধ্যায়। তিনি কলকাতা পুলিশের এসি। মারের চোটে তাঁর হাত ভেঙে যায়। তিনি ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে। এছাড়া জোড়াবাগান থানার অ্যাডিশনাল ওসি গুরুতর জখম হন। তাঁকে সিএমআরআই হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এদিনের ঘটনায় দুই অফিসার-সহ ২৭ জন পুলিশ কর্মী জখম হন। কলকাতায় ছটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশের একটি পিসিআর ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। বউবাজারে পুলিশের একটি কিয়স্কে ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখা যায় কলকাতা ও হাওড়া জুড়ে। সাঁতরাগাছি, হাওড়া ময়দান, কলকাতার এমজি রোড, লালবাজারের সামনে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। গঙ্গার দুই পাড়ের বহু রাস্তা ইট, পাথর, চটি, জুতো, বাঁশের খুঁটিতে ভরে যায়। অনেক রাস্তায় পুলিশকে সাধারণ পথচারীদেরও মারতে দেখা যায়। রবীন্দ্র সরণিতে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ বহু বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করে। পুলিশের দাবি, বিজেপি সমর্থকরা তাণ্ডব চালিয়েছে।