নয়াদিল্লি: ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি (UK Foreign Secretary James Cleverly) বিবিসিতে (BBC) আয়কর তল্লাশির (Income Tax Raid) বিষয়টি বুধবার উত্থাপন করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের (EAM S Jaishankar) কাছে। এদিন এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় ক্লেভারলি বিষয়টি তোলেন। বৃহস্পতিবার শুরু হতে চলা জি ২০ (G 20) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে জয়শঙ্কর জোরালভাবে জানিয়ে দেন, এদেশে কাজ করতে হলে সকল সংস্থাকেই ভারতের আইন মেনে চলতে হবে।
এদিকে, জি ২০ বৈঠকের পাশাপাশি চীনের (China) বিদেশমন্ত্রী কিইন গ্যাং-এর সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন জয়শঙ্কর। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দুদেশের সেনা সংঘর্ষ ও চীনা আগ্রাসন নিয়ে কথা হতে পারে। গত ডিসেম্বরে বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়ার পর, এই বৈঠক সম্ভব হলে এটাই হবে কিইনের সঙ্গে জয়শঙ্করের প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ। যদিও আদৌ কথা হবে কিনা তা নিয়ে কোনও পক্ষই নিশ্চয়তা দেয়নি।
গত মাসে বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে আয়কর তল্লাশি হয়। আয়কর সংক্রান্ত অনিয়ম এবং লভ্যাংশ অন্য খাতে ঘুরিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তিনদিন ধরে তল্লাশি চলে। ওই অভিযান চলাকালীন ব্রিটেনের সরকারি চ্যানেল বিবিসির কর্মীদের অফিসেই রাত কাটাতে হয়েছে এবং দফায় দফায় জেরার মুখে পড়তে হয়।
প্রসঙ্গত, গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে বিবিসির একটি তথ্যচিত্র প্রসারিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আয়কর তল্লাশি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ওই তথ্যচিত্রে প্রধানমন্ত্রী তথা তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিবিসি। তল্লাশির পর আয়কর দফতর অবশ্য জানায়, বিবিসি আয়কর ফাঁকি দিয়েছে, এমন তথ্য মিলেছে।
এর কয়েকদিন পরেই ব্রিটিশ সরকারের তরফে এক মন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, আমরা বিবিসির পাশে আছি। আমরা বিবিসি চালাই। আমরা মনে করি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই আমরা। তিনি আরও বলেন, আমাদের সরকার এই ঘটনার সমালোচনা করে। আমাদের বিরোধী দল লেবার পার্টিও তল্লাশি অভিযানের নিন্দা করেছে। স্বাধীনতার অধিকার নিয়ে আমরা ভারতসহ বন্ধু দেশগুলির কাছে বার্তা পাঠাব।