নয়াদিল্লি: আদানি এন্টারপ্রাইজের (Adani Enterprise) ২০,০০০ কোটি টাকার ফলো-অন পাবলিক অফার (FPO) অফারের ৪৫.৫ মিলিয়নের জায়গায় ৪৬.২৭ মিলিয়ন শেয়ারের বিড পেয়েছে। ৩১ জানুয়ারি নিলামের তৃতীয় তথা শেষ দিনে ১০২ শতাংশ সাবস্ক্রিপশন পেয়ে গেল গৌতম আদানির সংস্থা। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে (Hindenburg Report) যথেষ্ট চাপে ছিল ভারতীয় ধনুকবেরের সংস্থা। তা সত্ত্বেও এই বিপুল উত্তরণ পেল তারা।
যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতারা (QIB) তাদের জন্য বরাদ্দকৃত ১২.৮ মিলিয়ন শেয়ারের মধ্যে ১২.৪৪ মিলিয়ন সাবস্ক্রিপশন নিয়ে বিডিং চক্রের নেতৃত্ব দেয়। ৯৭ শতাংশ সাবস্ক্রিপশন নিয়ে এরাই এগিয়ে থাকে। অ-প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা (NII) তাদের জন্য বরাদ্দ করা অংশের ৩২৬ শতাংশে ওভার-সাবস্ক্রাইব করেছে। তারা সংরক্ষিত ৯.৬ মিলিয়ন শেয়ারের বিপরীতে ৩১.৩১ মিলিয়ন শেয়ারের জন্য বিড করেছে। ইতিমধ্যে, কর্মচারীরা তাদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের ৫২ শতাংশের জন্য বিড করেছে।
আরও পড়ুন: Supreme Court: বিচারকের শূন্যপদে দুই হাইকোর্টের বিচারপতির নাম প্রস্তাব করল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম
সোমবার, দেশের বৃহত্তম শেয়ার বিক্রির বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় দিনে, আদানি এন্টারপ্রাইজেস এফপিও দরপত্রে মাত্র ৩ শতাংশ পেয়েছিল। উদ্বেগ ছিল যে সাম্প্রতিক দিনগুলিতে আদানির স্টক বাজারের পতনের কারণে শেয়ার বিক্রয় সমস্যার হতে পারে।
এই এফপিও-র সাফল্য দুটি কারণে আদানি গ্রুপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ— ঋণ কমানো, এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ, যখন এই বিজনেস টাইকুন একটা প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সে সময় বিনিয়োগকারীদের আস্থা অন্যমাত্রা বহন করে।
২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের কর এবং ঋণ সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। রিসার্চে বলা হয় যে সাতটি আদানি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারগুলি ৮৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে ভিত্তিহীন বলা সত্ত্বেও স্টক মার্কেটে এর মধ্যেই ৬৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে আদানিদের।