পুরুলিয়া: জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান (Adivasi Sengel Campaign) শুরু হল। আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা সহ ৫ দফা দাবিতে আজ সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধের (Bangla Bandh) ডাক দিয়েছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান। এই বনধের ফলে জঙ্গল মহলের স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে যানবাহন না পেয়ে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হন সাধারণ মানুষ। অনেক জেলাতেই পিকেটিং অবরোধের দরুন সরকারি-বেসরকারি বাস সহ অন্যান্য যানবাহন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। বহু এলাকায় দোকানপাট, হাটবাজারও সকাল থেকে বন্ধ থাকে।
পূর্ব ঘোষণা অনুসারে সোমবার সকাল থেকে আদিবাসী (Adivasi) সেঙ্গেল অভিযানের ডাকা বনধ শুরু হল। সকাল থেকে আরসা থানার কাটাডি মোড়ে পুরুলিয়া-জামশেদপুর ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক সহ পুরুলিয়া জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা অবরোধে শামিল হয়েছে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা। দক্ষিন দিনাজপুরে আদিবাসী মহিলাদের দন্ডি খাটানোর প্রতিবাদে, সাঁওতালি শিক্ষা ব্যবস্থার পরিকাঠামো গঠন, কুড়মি সাম্প্রদায়কে এসটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না করা, আদিবাসীদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা সহ মোট ৫ দফা দাবিতে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Fake IAS Arrest | ফের শহরে গ্রেফতার ভুয়ো আইএএস অফিসার
বালুরঘাট হিলি মোড়ে চলছে বনধ সমর্থকদের পিকেটিং। অবিলম্বে দণ্ডি কাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করলে সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযান নেতা বিক্রম মুর্মু বলেন, “আমাদের এই বনধের ঘোষণা আগেই করা হয়েছে। বুঝতে পারছি সাধারণ মানুষদের অসুবিধে হচ্ছে, তার জন্য আমরা দুঃখিত। কিন্তু আমাদেরও কিছু নির্দিষ্ট দাবি দাওয়া আছে। আদিবাসী মহিলাদের দিয়ে দণ্ডি কাটানো হলেও, মূল অভিযুক্ত এখনও পুলিশের হাতে গ্রেফতার হননি। মূল অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। আমাদের অন্যান্য দাবিগুলি অবিলম্বে মানতে হবে, নাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।”
এদিকে আসানসোলের বিএনআর মোড়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় আদিবাসী সিঙ্গেল অভিযানের সদস্যরা। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করার পর ঘটনাস্থলে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ বাহিনী পৌঁছে পথ অবরোধ তুলে দেয়