কলকাতা: বাঁকুড়া (Bankura) জেলায় চাকরি পেয়েছেন এমন ৭ প্ৰাথমিক শিক্ষককে (Teacher) তলব করছিল সিবিআই। কলকাতার সিবিআই (CBI) দফতর নিজাম প্যালেসে আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল ১১ টায় তাঁদের তলব করা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ের আগেই বাঁকুড়ার এই সাতজন শিক্ষক কলকাতায় (Kolkata) নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) পৌঁছন। তাঁরা আজ সকাল ১০ টা নাগাদ পৌঁছন। এঁদের বয়ান রিপোর্ট আকারে আদালতে পেশ করা হবে। কিছুদিন আগে আলিপুরের সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের ৪ প্রাথমিক শিক্ষক। সিবিআই সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে সমস্ত শিক্ষকরা চাকরি করছেন তাঁদের একটি তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই। তাঁদের প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলে প্রত্যেকের বয়ান রেকর্ড করে তাঁরা কিভাবে চাকরি পেলেন সেই সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করছে সিবিআই। মুর্শিদাবাদ এবং মেদিনীপুর জেলার শিক্ষকদের ইতিমধ্যেই বয়ান রেকর্ড পর্ব শেষ হয়েছে।
ইতিমধ্যে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই। সেইসব অযোগ্য শিক্ষকদের তলবের প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছেন তদন্তকারীরা। সোমবারই টাকা দিয়ে বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ায় গ্রেফতার হন চার প্রাথমিক শিক্ষক। ধৃত চারজনই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। নিয়োগ দুর্নীতিতে এই প্রথম টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় শিক্ষকদের। সোমবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে ওই চারজনকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তারপরই বিচারকের নির্দেশে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকুর অবিলম্বে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন, জানাল কমান্ড হাসপাতাল
এর আগে একাধিকবার দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং ইডি’কে আদালতের তোপের মুখে পড়তে হয়। আদালতের প্রশ্ন ছিল, যাঁরা বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে? কখনও নিম্ন আদালতে, আবার কখনও হাইকোর্টে এই প্রশ্নে জেরবার হতে হয় ইডি, সিবিআইকে। তাদের আইনজীবীরা স্বীকার করে নেন, এমন শিক্ষকদের চিহ্নিত করতে সময় লাগছে। অনেককে চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছে। গোটা প্রক্রিয়াই সময়সাপেক্ষ। আদালত বলে, অবিলম্বে ওই শিক্ষকদেরও গ্রেফতার করতে হবে। অবশেষে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া শুরু করল। আদালতের বক্তব্য ছিল, টাকা নিয়ে যাঁরা চাকরি দিয়েছেন, তাঁরা যেমন দোষী, ঠিক একইভাবে টাকা দিয়ে চাকরি নেওয়া শিক্ষকরাও সমান দোষী।