চাকদহ: ফের সিভিক ভলেন্টিয়ারের উপর হামলা। লোহার রড দিয়ে মারধর করার অভিযোগ কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, মোটরসাইকেল আটকানোর প্রতিবাদে তিন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মারধর। এই ঘটনায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় চাকদহ হাসপাতালে ভর্তি ওই তিন সিভিক ভলেন্টিয়ার।। তার মধ্যে, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজন। শুক্রবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে, নদিয়ার চাকদহ থানার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতরা হলেন সমীর রায়, সুজিত বিশ্বাস এবং গৌতম ঘটক।
অভিযোগ, গতকাল বিকেলে কর্তব্যরত অবস্থায় রাস্তা পারাপারের কাজ করছিলেন সুজিত বিশ্বাস এবং গৌতম ঘটক। সেই সময় রাস্তার একটা অংশে যানজট ছিল। আচমকাই সানা শেখ নামে এক যুবক গাড়িকে ওভারটেক করে সামনে চলে আসে। তাঁকে যেতে বাধা দিতে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর বেশ কিছু যুবককে সঙ্গে করে নিয়ে এসে ওই দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারের উপর চড়াও হয়ে মারধর করা হয়। লোহার রড দিয়ে দু’জনের মাথায় মারা হয় বলে অভিযোগ। তাঁদের বাঁচাতে আর এক সিভিক ভলেন্টিয়ার এলে তাঁকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। স্থানীয়রা দেখে ওই তিন সিভিক ভলেন্টিয়ারকে উদ্ধার করে চাকদহ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসাধীন তাঁরা। এই ঘটনায় সানা শেখ এবং সেবা শেখ সহ আরও ১০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
আরও পড়ুন: Jagadish Shettar | Karnataka | হেরে গেলেও জগদীশ সেটটারকে মন্ত্রী করছে কংগ্রেস
সম্প্রতি শ্যামনগরে সিভিকদের মারধরের অভিযোগ ওঠে অটো চালকদের বিরুদ্ধে। অটো রাখাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও অটো চালকদের মধ্যে শুরু হয় বচসা। উত্তেজনা চরম পর্য়ায় পৌঁছলে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। সিভিক ভলান্টিয়ারদের বাঁচাতে ঘটনাস্থলে যান জগদ্দল থানার এএসআই সমর চক্রবর্তী। আরও তীব্রতর হয়ে ওঠে বচসা।
বাকি সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ ওই পুলিশ আধিকারিককেও মারধর করা হয়। হাতাহাতিও হয় দু’পক্ষের মধ্যে। মাথা ফেটে যায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারেরও। আহত পাঁচ সিভিক ভলান্টিয়ার ও এএসআই-কে গুরুতর আহত অবস্থায় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে প্রশ্ন উটেছে, রাজ্য প্রশাসনের উপর যদি এমন সংঘর্ষ হয় তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা নিরাপদ?