বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর কথাবার্তায় বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করেছে। তিনি রাজনৈতিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। আর তাই তাঁর বক্তব্যে অসংলগ্নতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কড়া ভাষায় এবার জেডি(ইউ) সুপ্রিমোকে আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশোর। আক্রমণের কারণও অবশ্য ছিল। ভোট কুশলীর উদ্দেশ্যে তোপ দেগে নীতীশ কুমার কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, প্রশান্ত কিশোর এখন বিজেপির সঙ্গে সমঝোতা করে চলছে। এবার বিজেপিকে সাহায্যও করবেন।
একসময় জেডি(ইউ)-র সহ সভাপতি হয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সেই প্রশান্ত কিশোর আর নীতীশ কুমারের সম্পর্ক এখন বাস্তবিক অর্থে আদায়-কাঁচকলায়। নানা ইস্যুতে একে অপরের দিকে তীব্র আক্রমণ শানাতে দেখে অনেকটাই শোড়গোল তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সম্প্রতি নীতীশ বলেছিলেন, প্রশান্ত কিশোর যখন আমার সঙ্গে ছিল, তখন বলেছিলাম, নিজের পেশা ছেড়ে এসে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি কর। কিন্তু সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। আসলে ও রাজনীতি নিয়ে ব্যবসা করে। ভোট কুশলী নাকি তাঁকে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পাশাপাশি নীতীশ কুমার এমনও দাবি করেন, ভবিষ্যতে প্রশান্ত কিশোর বিজেপিকেও সাহায্য করবেন।
নীতীশের ওই আক্রমণের জবাব দিলেন প্রশান্ত। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি পাল্টা আক্রমণে গিয়ে জানান, উনি দাবি করেছেন আমি বিজেপির হয়ে কাজ করছি এবং ওকে কংগ্রেসের হাত ধরার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এটা কী করে হতে পারে? যদি বিজেপির হয়েই কাজ করে থাকি, তাহলে কংগ্রেসের শক্তিবৃদ্ধি করার চেষ্টা কেন করব? ওঁর দ্বিতীয় দাবিটা সত্যি হলে প্রথমটা মিথ্যে হতে বাধ্য। আসলে ওঁর বয়স হয়েছে। আর তাই মতিভ্রমের মত সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও রাজনৈতিক ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার পাশাপাশি এমন লোকেদের সঙ্গে থাকছেন, যাঁদের উনি নিজে রাজনৈতিকভাবে বিশ্বাসই করেন না। আর তাই স্নায়বিক সমস্যাজনিত কারণে যেটা বলতে চাইছেন সেটা বলে উঠতে পারছেন না। বরং উল্টো কথা বলে ফেলছেন।
প্রসঙ্গত, দিন তিনেক আগে প্রশান্ত বলেছিলেন, নীতীশ কুমার বিহারে যে জোট তৈরি করে সরকার গড়েছেন তাতে জাতীয় রাজনীতিতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না। এটা একটা রাজ্যের ব্যাপার। এই পরিবর্তনেও জাতীয় রাজনীতির সমীকরণ খুব একটা বদলাবে না। তবে যে কেউ চেষ্টা করতেই পারে। নিজের একসময়ের সতীর্থের এই কটাক্ষের জবাবে পাল্টা বিজেপি-খোঁচা দিয়েছিলেন প্রশান্তকে। সেই কটাক্ষের জবাব দিতে গিয়ে এবার সরাসরি মতিভ্রম আক্রমণ আই-প্যাক কর্ণধারের।