কলকাতা: রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সমীক্ষার (Survey) কাজ। আর সেই সমীক্ষার জন্য গ্রামে গিয়ে খুনের হুমকিও শুনতে হচ্ছে আশা কর্মীদের। তাদের অভিযোগ, গ্রামে গিয়ে উপভোক্তাদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। যাদের বাড়ি গাড়ি ফ্রিজ, টিভি, জমিজমা আছে তাদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে চাইলেই প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে। গ্রামে গিয়ে পঞ্চায়েতের প্রধান আগাম জানিয়ে দিচ্ছেন কোন আশা কর্মী কাদের বাড়িতে যাবেন। এমনকি তালিকায় নাম থাকা ব্যক্তিরা সকালে ঘুম থেকে উঠেই আশা কর্মীদের বাড়িতে এসে ভয় (Threat) দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ।
এই পরিস্থিতিতে আশা কর্মীরা আর সার্ভের কাজ করতে চাইছেন না। মঙ্গলবার কাজ না করার দাবিতে মালদায় রতুয়া-১ বিডিও অফিসের (BDO Office)সামনে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাঁরা নিজেদের দাবি পেশ করেন রতুয়া-১ ব্লকের ভিডিও রাকেশ টোপ্পো এবং রতুয়া-১ ব্লকের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (BMOH) মাসুদ রহমানকে।
মুর্শিদাবাদেও আবাস যোজনার সমীক্ষা করতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানালেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা। মঙ্গলবার নওদা ব্লক আধিকারিককে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা (Anganwadi)। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের অভিযোগে তারা যখন গ্রামে গিয়ে আবাস যোজনায় কে কে বাড়ি পেয়েছেন ,আর কে কে পাননি সেই সার্ভে করছেন, সেই সময় পঞ্চায়েত সদস্যরা সঙ্গে থাকছেন। সাধারণ মানুষ ভয়ে কিছু বলতে পারছেন না, আবার অনেকে বাড়ি পেয়েছে তারাও কিছু বলতে চাইছে না।
নওদার বিডিও সত্যজিৎ হালদার এব্যাপারে আশা কর্মীদের অভিযোগের চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, বাংলা আবাস যোজনায় সার্ভে করতে গিয়ে সমস্যার মুখে পড়ছেন বলে যে সমস্ত অভিযোগ আসছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
একই পরিস্থিতি হুগলির আরামবাগেও। পারিপার্শ্বিক চাপে গৃহনির্মাণ প্রকল্পে সমীক্ষা করা সম্ভব নয়। এর ফলে সমস্যায় পড়তে হবে তাদের। এই ধরনের একগুচ্ছ দাবি তুলে আরামবাগ এসডিও (SDO) আর বিডিওকে মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগ জানালেন আরামবাগ সাব ডিভিশনের ৬ নম্বর ব্লকের আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।