এলাহাবাদ: জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi mosque complex) মামলায় ‘শিবলিঙ্গের’ (‘Shivling’) বয়স নির্ধারণে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে (Archaeological Survey of India) আরও ৮ সপ্তাহ সময় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। বিচারপতি জে জে মুনিরের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি এএসআই জানায়, আদালত যা জানতে চেয়েছিল, সেই রিপোর্ট তৈরি করতে আরও ৮ সপ্তাহ সময় লাগবে। আদালতের কাছে সেই সময়ের জন্য আবেদন জানায় তারা। হাইকোর্ট সেই সময় মঞ্জুর করে আগামী ২০ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে। প্রসঙ্গত, এর মধ্যেই অর্থাৎ ফেব্রুয়ারি মাসে তিন উত্তর-পূর্ব রাজ্যে বিধানসভা ভোট রয়েছে এবং যার ফল ঘোষণা হবে ২ মার্চ।
গত ১৪ অক্টোবর বারাণসী আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছিল। উল্লেখ করা যেতে পারে এই মামলার একটি পক্ষ অঞ্জুমান মসজিদ কমিটি মসজিদের ভিতরে উদ্ধার হওয়া কাঠামোকে ফোয়ারা বলে দাবি করে থাকে। অপরদিকে হিন্দুদের দাবি, ওটা আসলে শিবলিঙ্গ। সেই নিয়েই মামলা চলছে।
আরও পড়ুন: Rahul Gandhi: মাঘের শীত রাহুলের গায়ে, কাশ্মীরে ঢুকে উইন্ডচিটার গায়ে চাপালেন
এর আগে জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে প্রার্থনার আগে হাত ধোওয়ার জন্য নির্দিষ্ট জলাশয়ে শিবলিঙ্গের উপস্থিতি সম্পর্কে দাবি করে হিন্দুপক্ষের তরফে যে আবেদন জানানো হয়েছিল সে ব্যাপারে মসজিদ কমিটির বক্তব্য জানতে চায় বারাণসী জেলা আদালত। হিন্দু পক্ষের তরফে ইতিমধ্যে ওই তথাকথিত শিবলিঙ্গের বয়স জানার জন্য ‘কার্বন ডেটিং’ পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়েছিল আদালতে।
২০২১ সালের অগাস্ট পাঁচজন হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত অংশটিতে এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে সেখানে পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলার প্রেক্ষিতে হিন্দু পক্ষের তরফে প্রাপ্ত নমুনাগুলির কার্বন ডেটিং পরীক্ষার আবেদন জানানো হয়।
উল্লেখ্য, কার্বন ডেটিং পরীক্ষার মাধ্যমে কোনও প্রাচীন সৌধ বা জীবাশ্মের বয়স নির্ধারণ করা যায়। হিন্দু পক্ষের দাবি, এখন যেখানে জ্ঞানবাপী মসজিদ, সেখানে বহু পুরনো হিন্দু মন্দির ছিল। কিন্তু পশ্চিম এশিয়া থেকে ভারতে এসে দ্বাদশ শতকে সুলতানি শাসনের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ ঘোরীর বাহিনী রাজা জয়চন্দ্রকে পরাজিত করে কনৌজের দখল নেওয়ার পর সেই মন্দির ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।