রামপুরহাট : সিবিআই হেফাজতে (CBI Custody) অত্যাচার করা হত। লালন শেখ যাদের হেফাজতে ছিল তাদের গাফিলতি ছিল। জানিয়ে দিলেন বগটুই গনহত্যা (Mass Killing) কাণ্ডে জেল হেফাজতে থাকা অন্যতম অভিযুক্ত আনারুল হোসেন। বৃহস্পতিবার রামপুরহাট মহ্কুমা আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সিবিআই হেফাজতে থাকা লালন শেখের মৃত্যুর প্রসঙ্গে এই কথাগুলি বলেন আনারুল হোসেন।
এদিকে অনুব্রত মন্ডল দুবরাজপুরে পুলিশি হেফাজতে থাকার ফলে শুনানি হল না গরু পাচার (Cattle Scam) মামলার। বৃহস্পতিবার আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বিশেষ সিবিআই আদালতকে জানানো হয় যে অনুব্রতকে (Anubrata) আদালতে হাজির করানো যাবে না। অন্যদিকে বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক এবং অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী শুনানিতে ছিলেন না। অবশ্য সিবিআইয়ের আইনজীবি ও গরু পাচার কান্ড মামলায় সিবিআইয়ের আধিকারিকরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ওই মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে আগামী ৫ই জানুয়ারি।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার ৫৬ ঘন্টা পর অভিযোগকারী শিবঠাকুর মণ্ডলের গোপন জবানবন্দি (Secret Testimony) নেওয়া হল আদালতে (Court)। গত সোমবার বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা শিবঠাকুর মণ্ডল দুবরাজপুর থানায় অনুব্রত মণ্ডলের নামে মারধরের পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ দায়ের করে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর আদালতে পেশ করে মঙ্গলবার। পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪ দিনের হেফাজতে (Custody) নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। দুবরাজপুর আদালত সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে তোলা হবে।
আর ওই মামলার অভিযোগপত্র থেকে শুরু করে যাবতীয় নথি চেয়ে এবার দুবরাজপুর আদালতের দ্বারস্থ হল ইডি (ED)। এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সি (Central Agency) ইডির একজন প্রতিনিধি দুবরাজপুর আদালতের দ্বারস্থ হন। তিনি জানান, শিব ঠাকুর মণ্ডলের দায়ের করা মামলার যাবতীয় তথ্য আদালতের কাছে সংগ্রহ করতে চান। পরবর্তীতে আদালত প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেয় ৷