আসানসোল: বেতন দিতে পারছেন না কর্মীদের। অবিলম্বে দুটি চালকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করলেন গরু পাচার মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে গরু পাচার মামলার ভার্চুয়াল শুনানি হয়। সেই শুনানিতেই ভোলেব্যোম রাইস মিলের দুটি অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার আর্জি জানান অনুব্রত। তাঁর দাবি, রাইস মিলের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ২০০ জন শ্রমিক রয়েছেন, তাঁরা বেতন পাচ্ছেন না। দ্রুত চালকলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হোক। কিন্তু কেষ্টর এই দাবির পর বিচারক জানান, মৌখিক আবেদনের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না আদালত। লিখিত আবেদন করলে শুনানিতে এই বিষয়ে বিবেচনা করা হতে পারে।
পাশাপাশি এদিন অনুব্রতর শারীরিক অবস্থারও খোঁজ নেন বিচারক। অনুব্রত বিচারককে জানান, শরীর একেবারেই ভালো নেই। পাল্টা বিচারক বলেন, ‘ডাক্তার দেখাচ্ছেন তো?’ অনুব্রত উত্তরে জানান, ‘ডাক্তার দেখাচ্ছি। জেলের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে পড়ে আছি।’ এরপরই জেল সুপারকে অনুব্রতর স্বাস্থ্যের বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলেন বিচারক। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করতে বলেন। এই নিয়ে তিহার জেলের সুপারকে ইমেলের মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: Mamata | Suvendu | প্রধান বিচারপতির শপথে মুখোমুখি শুভেন্দু-মমতা
এদিন আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সায়গল হোসেনেরও ভার্চুয়াল শুনানি হয়। বিচারক রাজেশ চক্রবর্ত্তী সিবিআই আইনজীবীর কাছে জানতে চান সায়গল হোসেন ও তাঁর আত্মীয়দের গয়না রিপোর্টের কী হল? সম্পূর্ণ রিপোর্ট এখনও জমা পড়েনি। এই নিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, পরবর্তী শুনানির দিনই সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। এরপর সায়গল হোসেনকে বিচারক বলেন, বিষয়টি অনেক দিন ধরে পড়ে রয়েছে। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ৭ জুন এই মামলার পরবর্তীর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।