আসানসোল: তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (anubrata mondal) ফের জেল হেফাজত। ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের (jail custody) নির্দেশ আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের। শুক্রবার তাঁর আইনজীবী যে কোনও শর্তে জামিনের আবেদন জানান। সিবিআই আইনজীবীরা প্রভাবশালী তত্ত্বে জামিনের বিরোধিতা করেন।
এদিন অনুব্রতর আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত আদালতে বলেন, যে কোনও শর্তে আমার মক্কেলকে জামিন দেওয়া হোক। দরকার হলে তিনি বোলপুরের পরিবর্তে কলকাতায় থাকবেন। আইনজীবীর অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত তদন্তে কোনও অগ্রগতি ঘটেনি। একই ঘটনায় সিবিআই এবং ইডি একইসঙ্গে তদন্ত করতে পারে না। আবার দুই সংস্থায় তাঁকে হেফাজতে নিতে চাইছে।
সঞ্জয় বলেন, কথায় কথায় সিবিআই প্রভাবশালী তত্ত্বের কথা বলে। বলা হয়, অভিযুক্ত তদন্তে সহযোগিতা করছে না। সুপ্রিম কোর্টের (supreme court) প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর আগে শীর্ষ আদালত এসএসসি মামলায় মন্তব্য করেছে, সব বিষয়ে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে যদি দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে মানুষ রাজ্য প্রশাসনের উপরে আস্থা হারাবে। আইনজীবী প্রভাবশালী তত্ত্বেরও বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ২০১২-১৩ সাল থেকে সারদা তদন্তও (investigation) চলছেও। সিবিআই (cbi) তদন্ত কোনওদিনই শেষ হবে না। এখনই অনুব্রতর বয়স ষাটের বেশি। দেখা যাবে, তদন্ত চলতেই থাকবে। শেষে তদন্তকারী অফিসার ছাড়া আর কেউ থাকবেন না।
জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই আইনজীবী (lawyer) কালীচরণ মিশ্র বলেন, অনুব্রতর বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে প্রায় ৫০ কোটি টাকার হিসেব পাওয়া গিয়েছে। বহু সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। প্রাথমিক কিছু তথ্য দিয়ে চার্জশিট পেশ করা হয় এখনও তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি বীরভূমে গিয়ে এক মন্ত্রী অনুব্রতকে বাঘ বলেছেন। তিনি বলেন, বাঘ খাঁচা থেকে বেরোলে শিয়ালরা সব পালাবে। আইনজীবীর দাবি, মন্ত্রীর কথাতেই পরিষ্কার, অনুব্রত কতটা প্রভাবশালী। তাঁর আরও অভিযোগ, ইতিমধ্যেই সাক্ষীদের নানাভাবে হুমকির অভিযোগ আসছে। এই অবস্থায় জামিন দেওয়া ঠিক হবে না বলে আইনজীবী জানান। দুপক্ষের সওয়াল চলে প্রায় দেড় ঘণ্টা। শেষে বিচারক ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত অনুব্রতকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।