কাতার: ভবিতব্য। ললাটের লিখন। বিধির বিধান। এছাড়া কীভাবে ব্যাখ্যা করব জানি না। ২০১১ সালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অধরা মাধুরী স্পর্শ করেছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের ঈশ্বর শচীন তেন্ডুলকর। ১১ বছর পর সেই একই কীর্তি করে দেখালেন বিশ্ব ফুটবলের ঈশ্বর লিওনেল মেসি। হ্যাঁ, অমরত্ব, ঈশ্বরত্বের স্টেটাস পাওয়া থেকে তাঁকে আটকে রেখেছিল একটা ট্রফি। আজ রাতে সেই সোনালি স্বপ্ন বুকে জড়িয়ে শোবেন মেসি। ভুল, আজ ঘুমই হবে না তাঁর।
ম্যাচের ফলাফল সবাই জানে, কে গোল করেছে, ক’টা গোল হয়েছে এসব শুকনো পরিসংখ্যান লিখে আর কী হবে। বরং আজ সেলিব্রেট করা যাক। বহু বছর আগে কিংবদন্তি ফুটবল ম্যানেজার স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন বলেছিলেন, রোনাল্ডো এই গ্রহের সেরা ফুটবলার, কিন্তু মেসি অন্য গ্রহের। আজ থেকে তিনি ফের এই নীল পৃথিবীর মানুষ। তবে দুনিয়ার তামাম মেসি-ভক্তদের কাছে তিনি আজ থেকে ঈশ্বর।
আরও পড়ুন: FIFA WORLD CUP: বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে দু’দলের সম্ভাব্য একাদশ
অমরত্ব পেয়েছেন দিয়েগো মারাদোনা। এতদিন শুধু তাঁকেই পুজো করত আর্জেন্টিনার মানুষ। তাঁদের ঠাকুরঘরে নতুন ঠাকুর এখন থেকে লিওনেল মেসি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাস্টারক্লাস দিলেন তিনি। আজ কী করেননি, গোল করেছেন, খেলা নিয়ন্ত্রণ করেছেন গোটা ম্যাচ। এমবাপে তিনটে গোল করেছেন ঠিকই। কিন্তু তিনি মেসির মতো ম্যাচে প্রভাব রাখেননি। প্রথমার্ধে তো তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি।
উল্টো দিকে মেসি সম্ভবত নীল-সাদা জার্সিতে জীবনের সেরা ম্যাচ খেললেন। তবে কৃতিত্ব দিতে হবে এমি মার্তিনেজকেও। ১২০ মিনিটে তাঁর অবিশ্বাস্য সেভ মেসির অমরত্বের অমৃতের ভাণ্ড। আজ আর্জেন্টিনার সমর্থকদের বড় আনন্দের দিন।