চণ্ডীগড়: চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিডিও ফাঁস মামলায় এক সেনা জওয়ান গ্রেপ্তার। পাঞ্জাব পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিপি) গৌরব যাদব জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী এবং অসম ও অরুণাচল পুলিশের সহযোগিতায় সঞ্জীব সিং নামে ওই জওয়ানকে শনিবার গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তকে মোহালি কোর্টে পেশ করা হবে। সংশ্লিষ্ট ভিডিও ফাঁস মামলায় এই নিয়ে এটি চতুর্থ গ্রেপ্তার।
গ্রেপ্তার জওয়ান সঞ্জীবের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ব্ল্যাকমেল করার। অভিযুক্ত কমন ওয়াশরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আপত্তিজনক ভিডিয়ো তুলত এবং তা শেয়ার করত। পুলিশ দাবি, ফরেন্সিক ও ডিজিটাল প্রমাণের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত জওয়ানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডিরেক্টর জেনালের সংবাদমাধ্যমকে জানান, “অসম ও অরুণাচলের রাজ্য পুলিশ এবং সেনা কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় অভিযুক্ত সেনা জওয়ানকে অরুণাচলপ্রদেশের সেলা পাশ থেকে ধরপাকড় করা হয়।” তিনি আরও জানান, “এসএএস (শাহিবজাদা অজিত সিং) নগর পুলিশও মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) বোমদিলার আদালত থেকে দু’দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়েছে অভিযুক্তকে এসএএস নগর আদালতে তোলার জন্য।”
এই ভিডিও লিক মামলায় তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধানে রয়েছেন কমিউনিটি অ্যাফেয়ার্স ডিভিশন অ্যান্ড উইমেন্স অ্যাফেসার্সের যুগ্ম ডিজিপি গুরপ্রীত কউর। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, “চণ্ডীগড় বিশ্ববিদ্যালয় মামলায় সঞ্জীব সিং প্রধান অভিযুক্ত। সিট-এর তদন্ত থেকে যা তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে, সেই সূত্র ধরেই অভিযুক্তকে অরুণাচল প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ভিডিয়ো লিকের প্রধান অভিযুক্ত মহিলা এবং তার হিমাচলপ্রদেশের প্রেমিক সহ দুই ব্যক্তি মিলিয়ে এর আগে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড় ভিডিয়ো ফাঁস মামলায় প্রথম ভিডিযো ছড়িয়ে পড়ার পরদিনই পুলিশ আর একটি ভিডিয়ো আদালতে পেশ করে। অভিযুক্ত মহিলার ফোনে হোস্টেলের ওয়াশরুমে আরও এক মহিলা ছিলেন তাতে। এছাড়া, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিন থেকে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলাকে ব্ল্যাকমেল করা হতো ভিডিয়ো শেয়ার করার জন্য। মোহালির সদর খারার থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৫৪সি এবং আইটি আইনের ধারা ৬৬ই অনুযায়ী এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।
তদন্তকারী দলের প্রধান রূপিন্দর কউর জানিয়েছেন, “অভিযুক্ত জম্মুর বাসিন্দা, হিমাচলে পোস্টিং ছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময় ছাত্রী নাম জানান এবং পরবর্তী তদন্তে উঠে আসে যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি ফোন করে ওই ছাত্রী ভিডিয়ো চেয়ে ব্ল্যাকমেল করত। অভিযুক্ত মহিলার ভিডিয়োও তার কাছে রয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে গ্রেপ্তার অপর দুই ব্যক্তির মধ্যে কার সঙ্গে ওই জওয়ানের যোগাযোগ ছিল।”