এটিকে মোহনবাগান–০ চেন্নাইয়ান এফ সি–০
নতুন বছরের এখনও জয়হীন এটিকে মোহনবাগান। বছরের প্রথম ম্যাচে কলকাতায় মুম্বই সিটি এফ সি-র কাছে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার চেন্নাইয়ের নেহরু স্টেডিয়ামে চেন্নাইয়ানের সঙ্গে ড্র করল মোহনবাগান। কপাল তাদের ভাল বলতে হবে ম্যাচ থেকে একটা পয়েন্ট অন্তত এল। তবে তার জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে বাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথকে। দ্বিতীয়ার্দ্ধে বিশাল এমন দুটি বল বাঁচিয়েছেন যাতে গোলের গন্ধ ছিল। সত্যি কথা বলতে কী, মোহনবাগান এদিন সেভাবে খেলতে পারেনি। তাদের ফরোয়ার্ড লাইনে তেমন ভেদশক্তি ছিল না। যত দিন যাচ্ছে দিমিত্রি পেত্রাতোস যেন দলের বোঝা হয়ে যাচ্ছেন। লিস্টন কোলাসো গত বছর যে ফর্মে ছিলেন এ বছর তার ধারে কাছে নেই। মনবীর অনেক দিন পর মাঠে নামলেন। চোটের জন্য তিনি অনেক ম্যাচ মিস করেছেন। এখনও তাঁর খেলায় আগের গতি বা ছন্দ কিছুই নেই। হুগো বুমোর কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা ছিল বাগান সমর্থকদের। কিন্তু তিনিও হতাশা ছাড়া কিছু দিতে পারলেন কোথায়? সব মিলিয়ে একটা জগাখিচুড়ি ম্যাচ খেলে উঠল মোহনবাগান। কপালগুণে তারা একটা পয়েন্ট পেল এই যা। নিষ্ফলা ম্যাচের সেরা হলেন চেন্নাইয়ের মিডফিল্ডার জুলিয়েন ডুকের। তাদের আক্রমণকে সচল রাখলেন তিনিই। বিশৈষ করে শেষ ৪৫ মিনিট। প্রথমার্দ্ধে বাগান যাও একটু নড়াচড়া করছিল। বিরতির পর তারা শুধু ডিফেন্সই করল ভাল করে। ১৪ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট হল জুয়ান ফেরান্দোর দলের। তারা সেই চার নম্বরেই রইল
আই এস এল-এর প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ান এফ সি-র কাছে নিজেদের মাঠে হেরে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। তার পর বঙ্গোপসাগর দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে। ইদানিং চেন্নাইয়ের অবস্থা ভাল নয়। বাগানের বিরুদ্ধে চারটি ম্যাচে তারা তিনটিতে হেরেছিল, বাকিটা ড্র। নিজেদের মাঠে ছয়টি ম্যাচে তারা জিতেছে মোটে একটিতে। এমনই “ভয়াবহ” তাদের সাম্প্রতি পারফরম্যান্স। সেই দলের বিরুদ্ধে জুয়ান ফেরান্দোর দল যে শুরু থেকে খুব দাপিয়ে খেলতে শুরু করল তা নয়। দলে বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছেন বাগান কোচ। বহু দিন পর মাঠে নামলেন মনবীর সিং। কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে আসা পুয়েতিয়াকে শুরু থেকেই নামানো হল। সামনের দিকে দিমিত্রির সঙ্গে লিস্টন কোলাসো। মাঝ মাঠে হুগো বুমোর সঙ্গে কার্ল ম্যাকহাউ। কিন্তু কিছুতেই যেন চেন্নাই ডিফেন্সকে ভাঙতে পারছিল না মোহনবাগান। বরং চেন্নাই মাঝে মাঝে আক্রমণ করছিল যার মধ্যে একটা ইতিবাচক ব্যাপার ছিল। কিন্তু তাদের দুই স্ট্রাইকার ব্যারেটো এবং স্লিসকোভিচের মধ্যে তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। বা বলা যায় বাগান ডিফেন্স তাদের নড়াচড়া করার কোনও জায়গা দেয়নি। চেন্নাইয়ের অধিনায়ক এবং গেমমেকার অনিরুদ্ধ থাপা এরই মধ্যে একটা সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। স্লিসকোভিচের একটা পাস ডিফেন্স চিরে দেয় বাগানের। বাঁ দিকে থাকা বলটা ঠিক যাণ অনিরুদ্ধের কাছে। গোল করার মতো পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু তাড়াহুড়ো করে মারতে গিয়ে অনিরুদ্ধ বাইরে মারেন। বাগানের খুচখাচ আক্রমণগুলো সামাল দিতে অসুবিধে হয়নি চেন্নাইয়ের বাঙালি গোলকিপার শমীক সেনের। বিরতির পর চেন্নাইয়ের আক্রমণের মুখে খেই হারিয়ে ফেলল বাগান। কিন্তু তাদের গোলকিপার বাঁচিয়ে দিলেন দুটো শট। প্রথমে এডউইনের শট। তার পর ভিন্সি ব্যারেটোর শট। না হলে বাগানের কপালে এদিনও দুঃখ ছিল।