কলকাতা: আইএসএলে (ISL) ছয়ে ছয়। টানা ছ’বার এই টুর্নামেন্টে কলকাতা ডার্বির রং সেই সবুজ মেরুন। এটিকে-মোহনবাগানের (ATK-Mohun Bagan) কাছে আরও একবার মাথা নোয়াতে হল ইস্টবেঙ্গলকে (East Bengal)। খাতায় কলমে মানের দিক থেকে প্রীতম কোটালরা (Pritam Kotal) এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু বহুবার দেখা গিয়েছে, খাতায় কলমে যা ভাবা হয় ডার্বিতে হয় তার উল্টো। তাই এই ম্যাচ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা বোকামি।
তাগিদ বেশি ছিল মোহনবাগানেরই। কারণ ডার্বি জিতলে লিগ টেবিলে তিন নম্বর পোজিশন একেবারে গ্যারান্টিড। অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের তাগিদ একটাই, চূড়ান্ত হতাশাজনক আরও একটা আইএসএল মরশুমের শেষটা সুখকর করে তোলা। শেষ পর্যন্ত যোগ্য দলই জয়ী হল।
আরও পড়ুন: Indian A Cricket Team: ভারতীয় এ ক্রিকেট টিমের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন
তবে জয়ের জন্য মোহনবাগানকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৬৮ মিনিট পর্যন্ত। কর্নার থেকে জটলার মধ্যে বল ফ্লিক করেন মনবীর (Manvir Singh)। তাতে মাথা ছোঁয়ান ড্যামিয়ানোভিচ। বল বারে লেগে আবার তাঁর পায়েই এসে পড়ে, ডানপায়ের টোকায় বল জালে জড়ান তিনি। ব্রেন্ডন হ্যামিল এদিন ছিলেন না বলেই খেলানো হয়েছিল ড্যামিয়ানোভিচকে। গোল করে যে সেলিব্রেশন তিনি করলেন তাতে স্পষ্ট, প্রথম এগারোয় ঢুকতে চান তিনি।
গোল খেয়ে আত্মসম্মানে লেগেছিল লাল-হলুদের। তাই চাপ বাড়ায় তারা। এরকম ক্ষেত্রে প্রতি-আক্রমণে গোল খেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। সেটাই হল। তবে স্টিভন কনস্টান্টাইনের (Steven Constantine) কপাল ভালো, আর একটাই গোল খেতে হয়েছে। হতে পারত আরও দুটো। ক্লান্ত হুগো বুমোঁকে তুলে কিয়ান নাসিরিকে নামান কোচ জুয়ান ফেরান্দো (Juan Ferando)। জামশেদ নাসিরির ছেলে খেলায় গতি আনলেন, ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সকে স্ট্রেচ করলেন। তাঁর শট ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রতিহত করতেই এগিয়ে গেলেন পেত্রাতোস। তাঁর টাচে ২-০ হয়ে গেল। এদিন তিনিই ছিলেন এটিকে-মোহনবাগানের সবথেকে সক্রিয় প্লেয়ার।