Wednesday, June 11, 2025
HomeকলকাতাMid day Meal | রাজ্যে মিড ডে মিলে ১০০ কোটির দুর্নীতি, রির্পোট...

Mid day Meal | রাজ্যে মিড ডে মিলে ১০০ কোটির দুর্নীতি, রির্পোট কেন্দ্রের জয়েন্ট রিভিউ মিশনের

Follow Us :

কলকাতা: মিড ডে মিলে (Mid day Meal) অন্তত একশো কোটি টাকার দুর্নীতি (Corruption of crores of rupees) হয়েছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের। ওই মন্ত্রকের জয়েন্ট রিভিউ মিশনের (Joint Review Mission) রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে,  ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চয় মাসের মিড ডে মিলের ক্ষেত্রে একশো কোটি টাকার হিসেব মিলছে না। হিসেব চাওয়া হলে রাজ্য সরকার অতিরিক্ত ১৬ কোটি মিড ডে মিল দেখিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী পুষ্টি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক একটি জয়েন্ট রিভিউ প্যানেল তৈরি করে। সেই প্যানেলের রির্পোট সম্প্রতি জমা পড়েছে শিক্ষা মন্ত্রকের কাছে। সূত্রের খবর, সেই রির্পোটে একশো কোটির অনিয়ম ধরা পড়েছে। অভিযোগ, মিডে মিলের টাকা নিুয়ে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ৭০ শতাংশ কম মিড ডে মিলের খাবার সরবরাহ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এছাড়াও ১৬ কোটি অতিরিক্ত মিড ডে মিল দেখানো হয়।

মিড ডে মিলের টাকা রাজ্য সরকার অন্য খাতে খরচ করছে বলে টুইট করেন বিজেপি আইটি সেলের নেতা অমিত মালব্য (BJP IT cell leader Amit Malviya)। বিজেপি নেতা টুইটে লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের দুর্নীতি ব্যাপক। এমনকি তার প্রশাসন প্রধানমন্ত্রী পোষণ তহবিলও ছাড়েনি। রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ পর্যালোচনায় গিয়েছে, রাজ্য সরকার মিড ডে মিলের একশো কোটি টাকা অন্য খাতে একশো কোটি টাকা সরিয়েছে! শিশুদের কম খাওয়ার দেওয়া হয়েছে। মালব্যের ওই টুইটটি রিটুইট করেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)৷ তিনি বলেন, আমি তো আগেই বলেছি, মমতার সরকার বাচ্চাদের খাওয়ার থেকেও চুরি করছে।

আরও পড়ুন:ABVP-TMCP Clash | টিএমসিপির পতাকা ছেঁড়ার অভিযোগ এবিভিপির বিরুদ্ধে, তুমুল সংঘর্ষ দু’পক্ষের 

যদিও বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Bose)। তাঁর দাবি,  মিড ডে মিল নিয়ে কেন্দ্রের দ্বিচারী মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে। ব্রাত্যর অভিযোগ, জয়েন্ট রিভিউ মিশনে রাজ্য সরকারের একমাত্র প্রতিনিধি কুকড মিড ডে মিলের অধিকর্তা। তাঁর সই ছাড়াই এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট যদি রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিকে না দেখানো হয় তাহলে জয়েন্ট রিভিউ মিশনের (Joint Review Mission) যৌথ বিষয়টি কোথায় রইল?

ব্রাত্য জানান, বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগ সেই মৰ্মে প্ৰতিবাদ করে একটা চিঠি ওই  মিশনের চেয়ারপার্সনকে দিয়েছে।আজ পর্যন্ত সেই চিঠির কোনও জবাব পাওয়া যায়নি। শিক্ষামন্ত্রীর মতে, এই ‘লুকোচুরি’ খেলাটার পিছনে কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য কোনও অভিসন্ধি আছে। তিনি বলেন, এখন প্রেস রিপোর্ট থেকে যা দেখছি, সেখানে প্রচুর তথ্য এবং সংখ্যা আছে, যা যাচাই না করে প্রতিক্রিয়া দেওয়া কার্যত অসম্ভব। তবে রাজ্য কেন্দ্রের এই রির্পোট মেনে নেবে না।

 

RELATED ARTICLES

Most Popular