বেঙ্গালুরু: অপারেশন পদ্মের বদলা অপারেশন ‘হস্ত’ (Operation Hastha)। কর্নাটকে বিধানসভা ভোটের (Karnataka Assembly Vote 2023) আগে জোর ধাক্কা খেল শাসকদল বিজেপি (BJP)। শুধু তাই নয়, পদ্ম শিবিরের জন্য দিনে দিনে আরও চমক অপেক্ষা করছে বলে কংগ্রেস (Congress) সূত্রে জানা গিয়েছে। কর্নাটকে বিধান পরিষদের (Karnataka Legislative Council) দুই বিজেপি সদস্য (MLC) ইস্তফা দিয়েছেন। যার ফলে বিধান পরিষদে শাসকদল সংখ্যালঘু (Minority) হয়ে গিয়েছে। বিজেপি বিধায়ক পুত্তান্না এবং বাবুরাও চিঞ্চাসুর ইস্তফা দেওয়ায় বিধান পরিষদে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে।
৭৫ সদস্য বিশিষ্ট বিধান পরিষদে বিজেপির হাতে ছিল ৩৯ জন। সেই হিসেবে বিধান পরিষদে সংখ্যাগুরু ছিল বিজেপি। কিন্তু, দুই সদস্য ইস্তফা দেওয়ায় বিজেপির কাছে এখন রয়েছেন ৩৭ জন। কংগ্রেসের কোনও কোনও মহল থেকে দাবি উঠেছে, এই সংখ্যা আরও কমতে পারে।
আরও পড়ুন: Pandabeswar | বন্দুক উঁচিয়ে হুমকি তৃণমূল কর্মীর, ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই গ্রেফতার
প্রবীণ বিজেপি নেতা অয়নুর মঞ্জুনাথ ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনিও বিধান পরিষদ থেকে পদত্যাগ করবেন। মনোনীত আর এক সদস্য এএইচ বিশ্বনাথ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি আগামী দিনে কংগ্রেসকে সমর্থন করবেন। কিছুদিন আগে বিজেপির বিধান পরিষদীয় সদস্য আর শঙ্কর হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, তাঁকে ফের টিকিট না দিলে তিনি আসন্ন বিধানসভা ভোটে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়াবেন। প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর গত ২০১৯ সালের ভোটের আগে কংগ্রেস ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁকে বিধানসভায় প্রার্থী করেনি বিজেপি। সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে তাঁকে বিধান পরিষদের সদস্য করা হয়।
বর্তমানে কর্নাটক বিধান পরিষদের চিত্রটা এরকম। বিজেপির সদস্য ৩৭, কংগ্রেসের ২৬, জনতা দল সেকুলারের ৮, মনোনীত ১ এবং চেয়ারপার্সন বাসবরাজ হোরাট্টি। গত বছর মে মাসেই বিধান পরিষদে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল। যার ফলে বিল পাশ করার ক্ষেত্রে তাদের কোনও বেগ পেতে হয়নি।
সব মিলিয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, তবে কি এবার কর্নাটকে ত্রিশঙ্কু (Hung) বিধানসভা (Karnataka Assembly Election 2023) হতে চলেছে? নাকি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কোনও দল! ইতিহাস বলছে, গত ২০ বছরে দক্ষিণের এই রাজ্যে ত্রিকোণ লড়াই হয়েছে বিজেপি (BJP), কংগ্রেস (Congress) এবং জনতা দল সেকুলারের (JDS) মধ্যে। এবং প্রতিবারই ত্রিশঙ্কু ফল হয়েছে। একমাত্র ২০১৩ সালে কংগ্রেস সেই রীতি ভেঙেছিল। কিন্তু, ২০১৮ সালে আবার তাদের একগুচ্ছ বিধায়ক বিজেপিতে চলে যাওয়ায় ‘রাজনৈতিক শত্রু’ জনতা দল সেকুলারের সঙ্গে জোটে যেতে হয় কংগ্রেসকে। এ বছর বিজেপি এবং কংগ্রেস স্থায়ী সরকার গঠন করতে বদ্ধপরিকর। দুদলই দাবি করেছে, তারাই সরকার গঠন করবে। অন্যদিকে, জনতা দল সেকুলার কমতি আসন পেলেও রাজমুকুট কার মাথায় যাবে, সেটা তারাই ঠিক করবে বলে গৌরব বোধ করছে।