করিমনগর (তেলঙ্গনা): নির্বাচনের পর তেলঙ্গনায় বিজেপিরই গেরুয়া পতাকা উড়বে। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর এই দাবি রাজ্যের বিজেপি সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমারের। আর মাসখানেকের মধ্যেই বিধানসভা ভোট রাজ্যে। কাল, শনিবার রাজ্য সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বান্দিকে। জামিনের নির্দেশের পর করিমনগর জেল থেকে এদিন বেলায় মুক্তি পান তিনি।
জেলের বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, পুরোটাই মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের চক্রান্ত। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে কর্মরত বিচারপতিকে দিয়ে তদন্ত করানোর চ্যালেঞ্জ জানান তিনি। বান্দির ভাষায়, আপনার হিম্মত থাকলে কর্মরত বিচারপতি দিয়ে তদন্ত করান। ভারত রাষ্ট্র সমিতি স্থানীয় একটি কোলিয়ারিকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে। এর জবাবে বান্দি বলেন, ওই কোলিয়ারির ৫১ শতাংশ রাজ্যের হাতে। তাহলে কেন্দ্র কী করে ৪৯ শতাংশ হাতে নিয়ে বেসরকারি করতে পারে?
আরও পড়ুন: COVID-19| চীন কেন কোভিডের উৎস গোপন করছে? তা আবারও জানতে চাইল ‘হু’
বান্দির অভিযোগ, আসলে ওই কোলিয়ারি কেসিআর পরিবারের এটিএম। প্রধানমন্ত্রী আসছেন। তাই তার আগে এটা নিয়ে হইচই পাকাতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, মধ্যরাতের নাটকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেফতার করা হয় তেলঙ্গনার (Telengana) বিজেপি প্রধান ও লোকসভা সদস্য বান্দি সঞ্জয় কুমারকে (Bandi Sanjay Kumar)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) সফরের কয়েকদিন আগেই কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের (KCR) সরকারের এহেন আচরণে রাজ্য বিজেপি (BJP) রুখে দাঁড়িয়েছে। তাদের বক্তব্য, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। মোদির সফরকে ঘেঁটে দিতে ইচ্ছাকৃতভাবে চক্রান্ত করে এটা করা হয়েছে। মাধ্যমিকস্তরের হিন্দি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে মাঝরাতে তাঁকে করিমনগরের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে পুলিশ।
মঙ্গলবার সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে মোবাইলে তোলা প্রশ্নপত্রের ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। গত ৩ এপ্রিলেও আর একটি প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল বলেও অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, প্রশ্নপত্রের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন প্রাক্তন এক সাংবাদিক তথা বর্তমানে বিজেপি কর্মী বুরাম প্রশান্ত। তাঁর সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে এই অভিযোগে বান্দি সঞ্জয়কে আটক করা হয়।
বান্দির গ্রেফতারি নিয়ে ভারত রাষ্ট্র সমিতি (BRS) এবং বিজেপির মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। তেলঙ্গনার এক মন্ত্রী বলেন, স্বার্থান্বেষী রাজনীতির জন্য বিজেপি নেতারা নিষ্পাপ পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। অন্যদিকে, বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেছেন, মধ্যরাতের অপারেশনে তেলঙ্গনা পুলিশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমারকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে। কেসিআরের ভবিষ্যতের পক্ষে এই কাজ ভালো হবে না।