চুঁচুড়া: আটচল্লিশ ঘন্টা নিখোঁজ থাকা মায়ের দেহ (Deadbody) এবার আলমারিতে পেল ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়ার শ্যামবাবুর ঘাটের কাছে একটি বস্তিতে ওই ঘটনা ঘটেছে। ওই বস্তির বাসিন্দা ভারতী ধাড়া (৬৫)। গত দিন দুয়েক ভারতীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ভারতী এবং তাঁর স্বামী কাশীনাথ ধাড়া ওই বস্তির একটি বাড়িতে থাকতেন। তাঁদের ছেলেরা থাকতেন কাছাকাছি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কাশীনাথের কোনও কাজ ছিল না। নেশার জন্য বারবার স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা চাইতেন তিনি। এনিয়ে দুজনের মধ্যে চরম অশান্তি হত। স্থানীয়দের দাবি, বৃহস্পতিবারের পর আর দেখা মেলেনি ভারতীর।
শনিবার সকালে কাশীনাথ এবং ভারতীর এক ছেলে বিশ্বনাথ তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। বিশ্বনাথের ক্যাটারিং-এর (Catering) ব্যবসা। তাঁর ব্যবসার বাসনপত্র ভারতী-কাশীনাথের (Parents) বাড়ির একটি আলমারিতে থাকত। সেখানে নিজের কাজের জিনিস বের করার জন্য একটি আলমারি (Almirah) খোলেন তিনি। আলমারি খুলতেই তিনি দেখতে পান ভিতর থেকে মায়ের হাত (Hand) বেরিয়ে রয়েছে। পুরো পাল্লাটা খুলতেই গড়িয়ে পড়ে ভারতীর দেহ। বিশ্বনাথ ধাড়ার স্ত্রীর বক্তব্য, শ্বশুর ও শাশুড়ীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। গত আট তারিখ থেকে ঘরের বাইরে দেখা যায়নি ভারতীকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের দেহ থেকে দুর্গন্ধ বার হচ্ছিল। খবর ছড়িয়ে পড়তেই লোকজন আসতে শুরু করে তাঁদের বাড়িতে। চুঁচুড়া থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে (Post Mortem) পাঠায়। মৃতের স্বামী কাশীনাথ ধাড়াকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় কাউন্সিলর (Councillor)দেবযানী দত্ত অবশ্য ভারতী ও কাশীনথের মধ্যে গন্ডগোলের জেরে কোনও চরম পরিণতি ঘটেছে বলে এখনই সিদ্ধান্তে আসতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, পুলিশ তদন্ত (Investigation) শুরু করেছে। সবদিক খতিয়ে দেখার পর জানা যাবে ঠিক কি ঘটেছিল।