লণ্ডন: এখন একটি নির্দিষ্ট রোগ বললে পরিষ্কার বোঝা যায় না। রোগের সঙ্গে তার বিভিন্ন ভাগ বোঝাতে হয়। যেমন করোনা বললে পরিষ্কার হয় না। কারণ, করোনারও অনেকগুলি সাব ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে। তাতে করোনার প্রথম ভ্যারিয়েন্টে যে উপসর্গ দেখা দিয়েছিল পরবর্তীতে তা আলাদা দেখা যায়। এখন যেমন এসেছে বিএফ.২ ভ্যারিয়েন্ট। এগুলো জানা সম্ভভ হয়েছে জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের (Genomic Sequencing) মাধ্যমে। বলা ভালো ওই জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমেই করোনা ভাইরাসকে ট্র্যাক করা গিয়েছে। এবার বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পরিধি বাড়িয়ে অন্যান্য ফ্লু, ভাইরাসে তা কাজে লাগাতে।
ব্রিটিশ গবেষকরা পরিকল্পনা করেছেন অন্যান্য যেসব প্যাথোজেন (Pathogene) আছে তা ইনফ্লুয়েঞ্জা হোক কিংবা রেসপিরেটরি সিনসাইটাল ভাইরাস(influenza to respiratory syncytial virus (RSV))। ভালো করে বুঝতে জেনোম সিকোয়েন্সিংকে কাজে লাগানো হবে। কাজটি এই লক্ষ্যে করা হবে যাতে জানা বিপদগুলিতেও আরও বেশি করে আলো পড়ে। ওয়েলকাম স্যাঙ্গার ইনস্টিটিউট, ব্রিটেনের (Britain) স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্থা এই কাজ করছে। এওয়ান হ্যারিসন বলেন, লক্ষ লক্ষ জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে সার্স কোভ-২ কে বোঝা সম্ভব হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Hackers Attack: সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কসহ আটটি ব্যাঙ্কে হ্যাকার হানা, ডেনমার্কে ব্যাহত ব্যাঙ্কিং পরিষেবা
এর মাধ্যমে গ্রানুলার ডিটেইল (Granular Detail) জানা গিয়েছে। কীভাবে এটি পরিবর্তিত হয়। কীভাবে মানুষের শরীরে প্রতিক্রিয়া করে সেগুলি জানা গিয়েছে। নতুন শুশ্রুষা ও ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সেগুলি কাজে লাগবে।
এবছরই তার কাজ শুরু হবে। করোনার জন্য যে সোয়াব (Swab) নেওয়া হয়েছেল সেগুলির অবশিষ্ট অংশেই কাজ শুরু হবে। .