কলকাতা: এবার আদালতের তোপের মুখে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক। বেআইনি নির্মাণ সংক্রান্ত এক মামলার সূত্রে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন তোলেন, কেন ওই জেলাশাসককে আদালত অবমাননার দায়ে জেলে পোরা হবে না? জেলাশাসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিনের পর দিন আদালত রিপোর্ট চাওয়ার পরেও তিনি তাতে কর্ণপাত করেননি। এমনকি কাদের অঙ্গুলিহেলনে আদালতের নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি, তা নিয়ে তলব করা রিপোর্টেরও কোনও জবাব দেননি জেলাশাসক। আরও অভিযোগ, বারবার জানানোর পরেও সরকারি কৌঁসুলিকে জেলা প্রশাসন কোনও তথ্য দেয়নি।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, একজন জেলাশাসকের যদি সংবিধান সম্পর্কে কোনও শ্রদ্ধা না থাকে, তাহলে তাঁর প্রশাসন কী ভাবে চলে, সেটা বোঝা যায়। আদালতের নির্দেশ, আগা্মী শুক্রবার জেলাশাসককে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: Haldwani Slum: সুপ্রিম-নির্দেশে হলদোয়ানির বস্তিতে চোখে জল, মুখে হাসি
ডায়মন্ড হারবারের একটি বেআইনি নির্মাণ ভাঙার জন্য এক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। কিন্তু সেই নির্দেশ আজ পর্যন্ত কার্যকর করা হয়নি। আদালত এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিএলএলআরও (BLLRO)-র ভূমিকা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলেছিল জেলাশাসককে। কিন্তু তাও দেননি তিনি। সব মিলিয়ে জেলাশাসকের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদালত।
বৃহস্পতিবারই কলকাতা হাইকোর্ট একটি গণধর্ষণের তদন্তে গাফিলতির প্রশ্নে তোপ দেগেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকের উদ্দেশে। জেলার আনন্দপুরের ওই ঘটনাকে সামনে রেখে আদালত নির্দেশ দেয়, এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশকে দ্রুত এফআইআর করে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ব্যাপারে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে অবিলম্বে বিজ্ঞপ্তি জারি করার কথা বলে আদালত। আরও বলা হয়, ব্যবস্থা না নিলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারকে সতর্ক করতে হবে। শুধু তাই নয়, সেই সতর্ক করার কথা তাঁর সার্ভিস বুকে লিখেও রাখতে হবে।