বোলপুর: গরু পাচার কাণ্ডে (Cattle Smuggling Scam) বোলপুরের (Bolpur) একটি বেসরকারি ব্যাংকের (Private Bank) পাঁচজন আধিকারিক ও কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই (CBI)। শান্তিনিকেতনে রতনকুঠির গেস্ট হাউসে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া চলে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) ওই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট (Bank Account) রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলির মধ্য দিয়ে গরু পাচারের কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে এমনটাই মনে করছেন সিবিআই। যে অ্যাকাউন্টগুলি সম্পূর্ণভাবে গোপন রেখেছিল সায়গল। এই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে বিদ্যুৎবরণ গাইনের (Vidyutboron Gayen) যোগ পাওয়া গেছে।
এদিন বিদ্যুৎবরণ গাইনের বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই। তার চোখ ধাঁধানো বাড়িও সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে। বিদ্যুৎবরণ গায়েনের বাড়িতে তিন জন আধিকারিক বিদ্যুৎবরণকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। সিবিআই আধিকরিকরা জানতে পেরেছেন, কেষ্ট-কন্যা সুকন্যার দুটি কোম্পানির যুগ্ম ডিরেক্টর পদে ছিলেন বিদ্যুৎবরণ। তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে বোলপুরে। তাঁর দোতলা বাড়ি, তাতে বিশেষ দামি কাচের জানালা এবং দেওয়ালে ‘প্যাস্টেল শেড’। এই সব সম্পত্তির উত্সয় কী, খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। গরু পাচারকাণ্ডে লেনদেনে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখবে সিবিআই। উল্লেখ্য, এর আগেও বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।বিদ্যুৎবরণের সম্পত্তির ঝলকানিতে চোখ ধাঁধিয়ে যাওয়ার উপক্রম। এলাকাবাসীদের কাছে বিদ্যুৎবরণ গায়েন অনুব্রতর ‘পোষ্যপুত্র’ বলেই গণ্য হতেন। প্রায় ৪৫ মিনিট বিদ্যুতের বাড়িতে ছিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এদিন ঘণ্টা খানেক জিজ্ঞাসাবাদের পর সিবিআই বোলপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পে চলে যায়। জানা গিয়েছে, আজই অনুব্রত-ঘনিষ্ট একাধিক ব্যক্তিকে সিবিআই ক্যাম্প অফিসে তলব করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
আরও পড়ুন: Stabbed in France | ফ্রান্সে পার্কের মধ্যে একের পর এক শিশুকে ছুরির আঘাত
এদিকে আগেই জানা গিয়েছে, ইডির (ED) জমা পড়া চার্জশিটে (Chargesheet) দাবি করা হয়েছে, বিদ্যুৎবরণ গায়েন ওরফে মুন এবং লক্ষ্মণ মেটে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতেই থাকত। বিদ্যুৎবরণ (Bidyutbaran Gayen) তাঁর খুবই ঘনিষ্ঠ। তাঁর ছেলের মতো। তাই বিদ্যুতের আয়কর রিটার্নের ফাইলও তাঁর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট মণীশ কোঠারি (Manish Kothari) দেখত। অনুব্রত মণ্ডল ২০১২ সাল থেকে সায়গল হোসেনকে চিনতেন। সায়গল তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করত।
 বোলপুরের (Bolpur) একটি বেসরকারি ব্যাংকের (Private Bank) পাঁচজন আধিকারিক ও কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই (CBI)। শান্তিনিকেতনে রতনকুঠির গেস্ট হাউসে জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া চলে। অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের (Saigal Hossain) ওই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট (Bank Account) রয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলির মধ্য দিয়ে গরু পাচারের কোটি কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে এমনটাই মনে করছেন সিবিআই। যে অ্যাকাউন্টগুলি সম্পূর্ণভাবে গোপন রেখেছিল সায়গল। এই অ্যাকাউন্টগুলির সঙ্গে বিদ্যুৎবরণ গাইনের (Vidyutboron Gayen) যোগ পাওয়া গেছে।){kind=link}