কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) সিবিআইয়ের (CBI) ডাকা দিদি ও মোদির লুকোচুরি খেলা। এই ভাষায় তৃণমূল (TMC) ও বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhirranjan Choudhury)। শনিবার তিনি বলেন, এটা দিদি ও মোদির লুকোচুরি খেলা। অভিষেক যাবেন, চা খাবেন। সিবিআই আদর করবে। ছেড়ে দেবে। কিচ্ছু হবে না। একটা খোঁচাবে, ধরছি ধরছি হবে। তারপর ছেড়ে দেবে। মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে। বহরমপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানান অধীর চৌধুরী। এদিন তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিকেও কটাক্ষ করেন। বলেন, নব জোয়ার কর্মসূচির নামে নাটক হচ্ছে।
এদিন বেলা ১১টায় নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের (CBI) কাছে হাজিরা দেন অভিষেক। নব জোয়ার কর্মসূচি ছেড়ে বাঁকুড়া থেকে মাঝপথে কলকাতায় আগেই ফিরে আসেন অভিষেক।সিবিআইয়ে নোটিস পাঠানো নিয়ে অভিষেককে একের পর এক আক্রমণ করেছে রাজ্যের বিরোধী নেতারা।
এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন অভিষেক। সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চিঠি দিয়ে সে কথা জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। চিঠিতে অভিষেক জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ১৯ মে নোটিস দিয়ে তাঁকে ২০ মে-তে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। এক দিনেরও কম সময় পাওয়ায় তিনি বিস্মিত। তিনি আরও জানান, বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। ২২ মে অর্থাৎ সোমবার শীর্ষ আদালতে তাঁর মামলার দ্রুত শুনানির আর্জিও জানান অভিষেক।
আরও পড়ুন: Singer Nobel | Arrested | প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার গায়ক নোবেল
এদিকে এদিন সকালেই কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি (ED)। একাধিক দলে ভাগ হয়ে বেহালার ফকিরপাড়া রোডের ফ্ল্যাট, বাড়ি-সহ বহু জায়গায় তল্লাশিতে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করা হয়েছে তাঁর কালীঘাটের কাকু তথা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়ির সামনে। সম্প্রতি সিবিআই (CBI) এসেও তল্লাশি চালিয়েছিল তাঁর ফ্ল্যাটে। সে সময় তাঁর বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল কয়েক লক্ষ নগদ টাকা। তিনি অবশ্য দাবি করেন, বোন হাসপাতালে ভর্তি, চিকিৎসার বিল মেটানোর জন্য ওই অর্থ তুলেছিলেন। একটি অ্যাডমিট কার্ডও পাওয়া গিয়েছিল তাঁর বাড়ি থেকে। তিনি দাবি করেন, সেটা তাঁর শ্যালিকার পুত্রের পুরসভায় চাকরির পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রদত্ত অ্যাডমিট কার্ড। এ ছাড়া তাঁর একটি ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই।