এক চিনা ( Chinese woman) বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনীকে (Buddhist monk) ভারত-বিরোধী (anti-India activities) কাজের অভিযোগে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। কাই রুয়ো (Cai Ruo) নামে ওই বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনীকে চিনা গুপ্তচর (Spy) সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কাই রুয়ো চরবৃত্তিতে সুপ্রশিক্ষিত এবং অতি ধূর্ত মহিলা। গ্রেফতারের সময় সে তদন্তকারীদের জানায়, চিনের কমিউনিস্ট নেতারা (Chinese Communist leaders) তাকে খুন করতে চায়। তাই সে পালিয়ে ভারতে চলে এসেছে।
আরও পড়ুন: TET Agitation:মধ্যরাতের অভিযানে চাকরিপ্রার্থীদের সরিয়ে ‘রাস্তা খালি’ করল পুলিশ
ভারতে এসে কাই নেপালি নাগরিক (Nepalese national) পরিচয়ে দোলা লামা নামে বসবাস করছিল। তার কাছ থেকে একটি নেপালি পরিচয়পত্রও পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে মনে হবে সে কাঠমান্ডুর (Kathmandu) বাসিন্দা। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কাই অনর্গল ইংরেজিতে কথা বললেও সে নেপালি ভাষা জানে না। তাতেই আরও সন্দেহ বাড়ে পুলিশের।
পুলিশ তারপর তার বাড়ি থেকে একটি চিনা পাসপোর্ট খুঁজে পায়। তা থেকে বোঝা যায়, সে ওই পাসপোর্টের সাহায্যেই এদেশে এসেছে এবং বসবাস করছিল। পুলিশ জানিয়েছে,
কাই ২০২০ সালে পশ্চিমবঙ্গের রানিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নেপালে ঢোকে। সেখানে পৌঁছে সে নেপালি পরিচয়পত্র বানায়। তাই নিয়ে সে ফের ভারতে চলে আসে।
বিদেশি রেজিস্ট্রেশন অফিসের তথ্য অনুসারে কাই চিনের হাইনান অঞ্চলের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সে এদেশে অশান্তি পাকানোর মতলবে ছিল কাই। সূত্রে জানা গিয়েছে, সে বলেছে বৌদ্ধ বলে কমিউনিস্টরা তাকে খুনের চক্রান্ত করছিল। তাই চিন ছেড়ে পালানো ছাড়া তার কোনও পথ খোলা ছিল না। কিন্তু, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কাই গুপ্তচরের কাজ করছিল। এদেশে গোলমাল পাকানোর চেষ্টায় ছিল সে।
পুলিশের কাছে খবর আসে যে, রাজধানী দিল্লিতে কোনও এক মহিলা চরবৃত্তি করছে। তার পরেই খোঁজখবর নিয়ে কাইকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লির মঞ্জু কা টিলা থেকে তাকে পাকড়াও করে পুলিশ। সূত্র জানিয়েছে, যেহেতু সে বৌদ্ধ সন্ন্যাসিনী হিসেবে ঘাপটি মেরে ছিল, তাই নিরাপত্তা সংস্থাগুলির নজরে পড়েনি এতদিন। তার কাছ থেকে জাল তথ্য, নথি ও পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছে।
রুয়ো আইনজীবী মারফত চিনে তার আত্মীয়দের সঙ্গ কথা বলার সরকারি অনুমতি চেয়েছে। এই মহিলা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PFI) সঙ্গে জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। দিল্লি পুলিশ গ্রেফতার করলেও জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাকে খবর দেওয়া হয়েছে।