বাগুইহাটি: দুই মাধ্যমিক পড়ুয়া খুনের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই বাগুইআটি থানার আইসি ক্লোজ করা হয়েছে। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে বুধবার জানালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মন্ত্রী আরও জানান, ১৪ দিন নিখোঁজ থাকার পর পুলিশ কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারেনি সেই বিষয়টি নিয়েও বিভাগীয় তদন্ত হবে। পুরো ঘটনাটি নজরদারি করার জন্য রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
১৪ দিন নিখোঁজ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার অভিষেক নস্কর এবং তাঁর ভাই অতনু দে’র দেহ মেলে। এলাকার এক যুবক সত্যেন্দ্র চৌধুরীর ওপর অভিযোগ ওঠে অপহরণ এবং খুনের। কিন্তু ১৫ দিন কেটে গেলেও মূল অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ। বাগুইআটি থানায় অভিযোগ জানানোর পরেও কেন প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন কড়া হয়নি তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই বাগুইআটি থানার আইসি কল্লোল ঘোষকে ক্লোজ করা হয়।
এদিন পুরমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে কোনও রকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয় না। রাজ্য প্রশাসন দুর্নীতির সামান্য ঘটনা কানে আসলেই কঠোরভাবে পদক্ষেপ করে। কীভাবে ১৪ দিন পরেও বাগুইআটি থানার পুলিশ তদন্তভার এগিয়ে নিয়ে যেতে পারল না সেই বিষয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ফিরহাদ জানিয়েছেন, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই জরুরি পদক্ষেপ করা শুরু হয়েছে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।