আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল কোল হ্যান্ডলিং প্লান্ট-এর কাঠামো। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন দেড়শোর বেশি শ্রমিক। কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই এই দুর্ঘটনা বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। এই ঘটনা পাণ্ডবেশ্বরের ইসিএলের সোনপুর বাজারি প্রজেক্টের।
সোমবার বেলা ১টা নাগাদ আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে কোল হ্যান্ডলিং প্লান্ট (CHP)-এর পুরো কাঠামোটি। সূত্রের খবর, প্রকল্পের কোল হ্যান্ডলিং প্লান্টে প্রতিদিন প্রায় দেড়শো স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক কাজ করেন। দুর্ঘটনার সময়ে টিফিন টাইম থাকায় শ্রমিকরা অন্যত্র টিফিন করছিলেন। কাজের সময় দুর্ঘটনা ঘটলে অনেকের মৃত্যু হতে পারত বলে মত কর্মীদের।
১৯৯৬ সালে কোল হ্যান্ডেলিং প্লান্টটি প্রথম চালু হয়। খনিতে উৎপাদিত কয়লা বেল্টের মাধ্যমে সরাসরি এসে জমা হয় কোল হ্যান্ডলিং ফানেলে। নীচে দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্পারে লোড হয়ে সেই কয়লা পৌঁছে যায় সরাসরি কোল সাইডিং-এ। দীর্ঘদিন আগে প্লান্টটি চালু হলেও প্রয়োজনীয় সংস্কার হয়নি। সংস্কারের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্যই এত বড় বিপর্যয় হল বলে অভিযোগ শ্রমিকদের। দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি সেখানে পৌঁছন তৃণমূল পরিচালিত শ্রমিক সংগঠন কেকেএসি-র নেতারা।
আরও পড়ুন:মালয়েশিয়ার সংসদ ভেঙে দিলেন প্রধানমন্ত্রী, নভেম্বরেই ভোট হওয়ার সম্ভাবনা
শ্রমিক নেতা রামচরিত্র পাসওয়ান দুর্ঘটনার জন্য সরাসরি সোনপুর বাজারি কর্তৃপক্ষের আধিকারিকদের দায়ী করে বলেন, ম্যানেজমেন্ট উৎপাদন নিয়ে আগ্রহী থাকলেও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয়। দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষী আধিকারিকদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি। এত বড় দুর্ঘটনা ঘটলেও সময়মতো কোনও আধিকারিক ঘটনাস্থলে আসেননি বলে অভিযোগ। বেশ কিছুক্ষণ পর আসেন সংস্থার সেফটি অফিসার মনোজ কুমার। দুর্ঘটনা বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের একাংশ তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি উত্তর এড়িয়ে যান। ফোনে যোগাযোগ করা হলে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক বলেন দুর্ঘটনার নেপথ্যে কোনও গাফিলতি থাকলে তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।