গুয়াহাটি: কংগ্রেস হাইকমান্ডের (Congress High Command) বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দিলেন মেঘালয়ের (Meghalaya) প্রাক্তন কংগ্রেস সহ সভাপতি অগাস্টিন মারাক। দলত্যাগ করে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়ে তিনি নিশানা করেন হাইকমান্ডকে। বলেন, দলটাকে আঁস্তাকুড়ে ফেলে দিয়েছে হাইকমান্ড। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ভোটে লড়ার হিম্মতও হারিয়ে ফেলেছে।
মারাক বলেন, এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য, মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার (CM Conrad Sangma) দাদা, বিধায়ক তথা মন্ত্রী জেমস সাংমাকে হারানো। তার জন্য মারাক সর্বশক্তি দিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন বলে জানান। আসন্ন মেঘালয় নির্বাচনে কংগ্রেস প্রথম পর্যায়ে ৫৫ জনের নাম ঘোষণা করেছে। কংগ্রেস তাঁকে ডাডেঙ্গরে কেন্দ্র থেকে টিকিট দিয়েছিল। ওই কেন্দ্রেই ন্যাশনাল পিপলস পার্টি প্রার্থী (NPP) হলেন জেমস সাংমা এবং তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন রূপা মারাক।
আরও পড়ুন: Hasnabad Incident: গলায় ভাত, দম বন্ধ হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধার
তার ঠিক সপ্তাহখানেক পরেই মারাক কংগ্রেসের সহ সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। তিনবারের বিধায়ক এবং প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। নিজের সিদ্ধান্তকে আত্মত্যাগ বলে ব্যাখ্যা করে মারাক বলেন, এরকম বড় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণই হল তাঁর এক এবং একমাত্র লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীর দাদা এনপিপি নেতা সাংমাকে হারানো।
মারাক বলেন, দলত্যাগের নেপথ্যে তাঁর উদ্দেশ্য হচ্ছে এনপিপিকে এবং সাংমাকে হারানো। আমরা যদি একজোট হয়ে লড়াই করি তাহলে অন্তত ২০ হাজার ভোটে জিতব। কংগ্রেস নেতৃত্বকে একহাত নিয়ে বলেন, নির্বাচনে লড়ার মতো ন্যূনতম পরিকাঠামো নেই দলের। কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করার অর্থ হল এনপিপিকে সুবিধা করে দেওয়া। চলতি রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তৃণমূলের রাজ্যে তৃণমূল ভালো অবস্থায় রয়েছে, মত মারাকের।
দলের হাইকমান্ডের আচরণে আমি বিভ্রান্ত। এখানে কংগ্রেসের আর কোনও সম্ভাবনা নেই। ইচ্ছা করে রাজ্যকে উপেক্ষা করা হয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূলের তারকা প্রচারকরা বারবার মেঘালয়ে আসছেন। অন্তত নির্বাচনে লড়ার মতো একটা পরিকাঠামো আছে এই দলের। কিন্তু, কংগ্রেসের নেতৃত্বে তা অসম্ভব। আমি যদি কংগ্রেসের টিকিটে লড়তাম, তাহলে না আমি, না তৃণমূল কেউই জিততে পারত না। আখেরে এনপিপি জিতে বেরিয়ে যেত।