বেঙ্গালুরু: বিরোধীরা শুধুমাত্র ‘গালি রাজনীতি’ (Gaali politics) জানে। ওরা জানে যে আমাদের হারাতে পারবে না। তাই আমাদের গালাগাল দিচ্ছে। কর্নাটকের মানুষ এই রাজনীতির বিরোধী। তাই আমাকে যারা হেনস্তা-অপদস্থ করার রাজনীতি করছে, তাদের উচিত শিক্ষা দেবেন। বুধবার কর্নাটকে (Karnataka) এক জনসভায় একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এদিন যেকটি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী, তার সবকটাতেই তিনি জয় বজরঙ্গবলি (Jai Bajrang Bali) ধ্বনি তুলে কংগ্রেসকে পরোক্ষে তাচ্ছিল্য করেন। এদিনই মোদির পালটা জনসভায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi Vadra) তির ছিল মোদিকে বিদ্ধ করতে শানানো। প্রিয়াঙ্কা বলেন, সর্বভূতে বিরাজমান, সর্বজ্ঞ মোদি এতকিছু জানেন, আর এই রাজ্যে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি চলছে, তা জানেন না? বিজেপি কর্নাটক থেকে দেড় লক্ষ কোটি টাকা লুট করেছে অভিযোগ তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Weather Update | ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ কখন আর কবে আসছে?
আগামী বুধবার ভোট। তার আগে কুরুক্ষেত্র কর্নাটকে বিরামহীন প্রচার চলছে। যার একদিকে রথের ধ্বজা ধরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যাঁর কাঁধে ভর করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। কারণ, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া, বিজেপির দুর্নীতি, কৃষক ক্ষোভ, আকাশছোঁয়া বাজারদর, বেকারি, শিক্ষা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে। তাই মোদি ক্যারিশ্মাকে ব্যবহার করে তরীপার করতে চাইছে পদ্ম শিবির। অন্যদিকে, যুযুধান কংগ্রেস শিবিরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বুধবারও মোদি মুডাবিডরে, আঙ্কোলা এবং বাইহোঙ্গলে তিনটি জনসভা করেন। ওদিকে, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে বেশ কয়েকটি জনসভা ও রোড শো করেন।
আগামী শনিবার, ৬ মে, মোদি ৩৬ কিমি রোড শো করবেন বলে বিজেপি সূত্র জানিয়েছে। বেঙ্গালুরুর ১৭টি বিধানসভা কেন্দ্র ছুঁয়ে যাবে রোড শো। এদিকে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে বজরঙ্গ দলের মতো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করবে, ইস্তাহারে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার বিরোধিতায় নেমেছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটি। আগামী বৃহস্পতিবার রাজ্যজুড়ে হনুমান চালিশা (Hanuman Chalisa) পাঠের আয়োজন করেছে তারা। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, এবার ধর্মসঙ্কট (Dharma) দেখা দিয়েছে। এই অবস্থায় ধর্ম রক্ষার জন্য কাঁধে কাঁধে রেখে লড়াই করতে হবে। তাদের এই প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদও।