নয়াদিল্লি: কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে দড়ি টানাটানির মধ্যেই দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাড়িতে প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার দুপুরে খাড়্গের বাড়িতে এসে হাজির হন রাহুল। সেখানে খাড়্গের সঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ ঘরে বৈঠক করেন দুজনে। ওই বৈঠকে কর্নাটকে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে, কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার রাজ্য সভাপতি ডিকে শিবকুমার রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন। শহরে পা রেখেই তিনি প্রথমে চলে তাঁর ভাই ডিকে সুরেশের অফিসে।
মুখ্যমন্ত্রী পদের দৌড় নিয়ে এদিনই শিবকুমার বলেন, তিনি পিছন থেকে ছুরি মারার লোকও নন, পদ নিয়ে দলকে ব্ল্যাকমেল করার পাত্রও নন। তবে তিনি এই মুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে নিতেও চান না। এখন দল যা ঠিক করবে, তাই হবে। যদিও এদিন রাহুল গান্ধী এসে খাড়্গের সঙ্গে দেখা করায় এবার মুখ্যমন্ত্রী মুখের জটিলতা কাটবে বলে মনে করছেন অনেকে। কারণ, রাজনীতিকরা মনে করছেন, রাহুল খোদ সোনিয়া গান্ধী এবং তাঁর পছন্দের নামটি জানাতেই সেখানে আসেন।
আরও পড়ুন: 300 Illegal Mazars | দেবভূমিতে জমি-জেহাদের ষড়যন্ত্র রেয়াত করা হবে না: মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, দাক্ষিণাত্য জয়ের পরেও কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে গলায় কাঁটা বিঁধে রয়েছে কংগ্রেসের। বেঙ্গালুরুতে রবিবার রাত দেড়টা পর্যন্ত চলা বৈঠকেও ফয়সালা না হওয়ায় সোমবার রাজ্যের দুই শীর্ষ নেতা ডিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়াকে ডাকা হয়েছিল রাজধানী দিল্লিতে। সেখানে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত মেনে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করবেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। দুপুরের মধ্যেই শিবকুমারের পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল দিল্লিতে। এই অবস্থায় তারই অসুস্থতা অনেকটা জল্পনা সৃষ্টি করেছে নতুন করে।
তবে মুখ্যমন্ত্রী মুখ বাছাই করতে কংগ্রেসকে অনেকগুলি সিঁড়ি ভাঙা অঙ্ক কষতে হবে। কারণ কর্নাটকের প্রধান দুই সম্প্রদায় ভোক্কালিগা এবং লিঙ্গায়তরা কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার ব্যাপারে একমত। আবার অন্যদিকে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার পিছনে প্রায় শ’খানেক বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। এই অবস্থায় শ্যাম ও কুল রাখা দায় হয়ে উঠেছে দলীয় নেতৃত্বের।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, হেভিওয়েট নেতা সিদ্দারামাইয়া শিবিরে প্রায় ১০০ জন বিধায়ক রয়েছেন। সেই হিসেব দলনেতা নির্বাচনে তিনি অঙ্কের হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে। অবজার্ভারদের সেকথা জানিয়ে দেওয়াও হয়েছে। দিল্লির নেতৃত্ব সিদ্দারামাইয়াকে ফোন করে জানিয়েছে, চার বছরের বিজেপির অপশাসনের সমস্যা মেটাতে আপনার মতো অভিজ্ঞ ব্যক্তিকেই এসময়ে প্রয়োজন।