নয়াদিল্লি: আগামী ৭ মার্চ, মঙ্গলবার, দোলপূর্ণিমার দিন দ্বিতীয়বারের জন্য মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of Meghalaya) হিসেবে শপথ নেবেন কনরাড সাংমা (Conrad Sangma)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে (Swearing-in ceremony) হাজির থাকতে পারেন। শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন তিনি। রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের (Governor Phagu Chauhan) সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপালের কাছে তিনি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে সরকার গঠনের দাবি জানান।
তাঁর দল ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (NPP) বিধানসভা ভোটে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। এদিন তিনি পূর্ব-শরিক বিজেপি ছাড়াও অন্যান্য দলের কাছে সমর্থন চেয়েছেন। তবে কারও নাম করেননি। ভোটে এনপিপি ২৬টি আসনে জয়ী হয়েছে। ৬০ সদস্যবিশিষ্ট মেঘালয় বিধানসভায় ৫৯টি আসনে ভোট হয়েছিল। বিজেপি এই অবস্থায় সাংমার নেতৃত্বে ফের সরকার গঠনের আসরে নেমে পড়েছে। এনপিপি নেতাও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করে ভোটের আগে চিড় ধরা সম্পর্ক জোড়া লাগানোর আর্জি জানিয়েছেন। রাজ্য বিজেপির তরফ থেকেও সাংমাকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রাজনীতিতে কোনও সম্পর্কই চিরস্থায়ী নয়। আবার কেউই চিরশত্রু হয় না। তা ফের একবার প্রমাণ করতে চলেছে মেঘালয়ের রাজনীতি। কারণ এই মুহূর্তে এনপিপি এবং মাত্র ৩টি আসনে জেতা বিজেপি সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় হাঁটছে। অথচ, ভোটের আগেই অমিত শাহ সহ বিজেপির তাবড় নেতারা দুর্নীতির অভিযোগে এই সাংমার সঙ্গেই গাঁটছড়া ছিঁড়ে একলা চলোর নীতি নেন। বিজেপি এই প্রথম সব আসনে প্রার্থী দিলেও জিতেছে মাত্র ৩টিতে।
এই অবস্থায় বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী কনরাডের আশা, বিধানসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে অন্যদের সমর্থন তিনি পাবেন। যদিও ৭টি আসনে জেতা শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং ৫টি করে আসনে জেতা কংগ্রেস এবং তৃণমূল এই জোটে যাবে না তা হলফ করেই বলা যায়। ফলে এনসিপিই হতে চলেছে মেঘালয় বিধানসভার প্রধান বিরোধী দল।
সাংমা এদিন বলেন, বিজেপি আমাদের নৈতিক সমর্থন দেবে বলে জানিয়েছে। রাজ্যপালকে আমরা বলেছি, এনপিপিকে যেন তিনি সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানান।