আমেদাবাদ: গ্যালারি থেকে একটাই আওয়াজ ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। যেন মনে হচ্ছিল ঋদ্ধিমান সাহা শো হচ্ছে। মাত্রা ২০ বলে ৫০ রান। ছক্কা মেরে পূর্ণ করলেন অর্ধশত রান। তাতেই গ্যালারি জুড়ে উচ্ছ্বাস ফেটে পড়ল। যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিয়ে ৪৩ বলে ৮১ রান করলেন গুজরাত টাইটান্সের উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। রবিবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে গুজরাত টাইটান্সের এই ব্যাটসম্যান এক কথায় মাতিয়ে দিলেন। উপহার দিলেন উপভোগ্য ক্রিকেটের। আফশোস একটাই, অল্পের জন্য হাতছাড়া হল সেঞ্চুরির। তা হলে ঋদ্ধিমানের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হত সেটা।
খুনে মেজাজ। প্রথম থেকেই মারমুখী মেজাজ। দেখে মনে হচ্ছিল ব্যাট দিয়ে কিছু বলতে চাইছেন। নির্বাচক মণ্ডলীর চোখ খুলে দিতে চাইছেন। আগামী বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে জায়গা পাকা করে নিতে চাইছেন। জাতীয় দলে সুযোগের দাবিদার হতে চাইছেন। তাঁর বেশিরভাগ রানই এল বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি থেকে। তাঁর সঙ্গে জুড়িদার ছিলেন শুভমন গিল। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, তিনি ঋদ্ধিমানের ব্যাটিং উপভোগ করছেন। তাঁর উইকেট কিপিং নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। তবে তাঁর ব্যাটিং নিয়ে যাঁরা সমালোচনা করছিলেন তাঁদের যোগ্য জবাব দিয়ে দিলেন ঋদ্ধিমান। তবে এর আগের খেলাগুলিতেও দেখা গেয়েছে মেরে খেলাই যেন তাঁর লক্ষ্য। প্রথম ওভারে মহসিন খানকে পরপর দুটো চার মারেন। সেই শুরু। তারপর বল ব্যাটে লেগে সোজা বাউন্ডারির বাইরে। হয় বাউন্ডারি না হয় ওভার বাউন্ডারি। পেসার হোক বা স্পিনার। কাউকে ছেড়ে কথা বলেননি ঋদ্ধিমান। বেদম মেরেছেন বোলারদের। তবে আবেশ খানকে ছয় মারতে গিয়ে আউট হন।
আরও পড়ুন: IPL | Kolkata Metro | আইপিএলের জন্য মধ্যরাতেও চলবে মেট্রো:
সাজানো ইনিংস। ১০টি চার ও চারটে ছক্কা। এবারের আইপিএলে পাওয়ার প্লেতে ব্যক্তিগত সবথেকে বেশি রান করলেন ঋদ্ধিমান। তিনি করেন ২৩ বলে ৫৪ রান। এবার আইপিএলে পাওয়ার প্লেতে সবথেকে বেশি রান করলেন ঋদ্ধিমান ও শুভমনের জুটিও। তাঁরা করেন বিনা উইকেটে ৭৮ রান। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন সেঞ্চুরি না করে থামবেন না ঋদ্ধিমান। ধরে খেললে তা হয়তো হয়ে যেত। কিন্তু দলের জন্য খেলছেন। সেজন্য ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে তাঁকে উইকেট খোয়াতে হল। এর আগেও ভালো শুরু করেছেন কয়েকটি ম্যাচে। কিন্তু ৫০ পেরোতে পারেননি। এদিন যেন অন্য ঋদ্ধিমানকে দেখা গেল।