কেন্দ্রীয় সরকারের নীতির বিরুদ্ধে ডাকা সংযুক্ত কিষান মোর্চার (United Farmers Front) রাজভবন অভিযান কর্মসূচিতে জমাযেত হযেছিল চোখে পড়া মত। শনিবার শিয়ালদহ স্টেশন থেকে মিছিল করে রাজভবনের উদ্দেশ্যে আসে সংযুক্ত কিষান মোর্চার একটি দীর্ঘ মিছিল। কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী কৃষক আন্দোলনের দু’বছর পূর্তিকে সামনে রেখে দেশ জুড়ে সংযুক্ত কিষান মোর্চার তরফে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়।
বাংলার পাশাপাশি দেশের সব রাজ্যে শনিবার রাজভবন (Raj Bhawan) চলো মহামিছিলের কর্মসূচি ছিল সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার জাতীয় সমন্বয় সমিতির সদস্য অভীক সাহা এবং মোর্চার রাজ্য সমন্বয় সমিতির সদস্য অমল হালদার, কার্তিক পাল, সমীর পূততুণ্ড, সুভাষ নস্কর এদিন রাণি রাসমণি রোডের সভায় বক্তব্য পেশ করেন। কৃষি পণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রদানের আইনি নিশ্চয়তার দাবি জানান তাঁরাপূ।
মোর্চা নেতাদের দাবি, কৃষকদের দেনার বোঝা থেকে মুক্ত করতে ঋণ মুক্ত প্রকল্প চালু করতে হবে। কৃষি মজুরদের ৫০০০ টাকা মাসিক পেনশন দিতে হবে। ৭ দফা দাবিতে সংযুক্ত কিষান মোর্চার এই মিছিল (Farmers Rally)। তাঁদের অভিযোগ, সরকার কৃষকদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তা পূরণ করেনি।
উপরন্তু মোর্চা নেতাদের দাবি, কেন্দ্র (Central Government) আমজনতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। গোটা দেশে গণতন্ত্র বিপন্ন। দেশের কোনও রাজ্যে কৃষক ভাল অবস্থায় নেই। আর বাম সমর্থক কৃষক নেতাদের প্রশ্ন, কেরলে এক কুইন্টাল চাল ২৮৫০ টাকায় বিক্রি হলে, বাংলায় তা হবে না কেন? ফসলের সহায়ক মূল্য অন্য রাজ্য পেলে বাংলার কৃষকরা পাবে না কেন? তাঁদের দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১২৮ জন কৃষক মারা গিয়েছেন।কিন্তু কৃষকরা কোনও ক্ষতিপূরণ (Compensation)পাননি।
অমল হালদার থেকে সুভাষ নস্করের মত কৃষক নেতাদের অভিযোগ, রাজ্যে আদানি গোষ্ঠী 50টি রাইস মিল কিনেছে। আগামীদিনে চালের দাম কোথায় দাঁড়াবে ভাবা যাচ্ছে না। দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনে মোদী সরকারের টনক নড়ল। কিন্তু কৃষকরা কিছু পেলেন না। তাঁরা দীর্ঘদিন সহায়ক মূল্য পান না।