গরুপাচার কাণ্ডের (Cattle Smuggling Case) তদন্তে ফের দিল্লিতে গরহাজিরা অনুব্রত-কন্যা (Anubrata Mondal) সুকন্যা মণ্ডলের (Suknya Mondal)। এদিন দিল্লির ইডি (ED) দফতর প্রবর্তন ভবনে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বিশেষ কারণে তিনি ইডি দফতরে যাচ্ছেন না। এমনটাই তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে।
গরুপাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই অনুব্রতর দেহরক্ষী সাইগল দিল্লিতে ইডি হেফাজতে রয়েছে। ইডি কর্তারা সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডেকে পাঠান। সুকন্যার আয়ব্যয় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করতে চায় ইডি। সুকন্যা এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুডস (ANM Agro-chem pvt.Ltd) কোম্পানির ডিরেক্টর। বোলপুরে (Bolpur) ভোলে ব্যোম রাইস মিলের মালিক। খুব স্বাভাবিকভাবেই সুকন্যা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা হয়ে এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন কীভাবে? এই সামগ্রিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।
আরও পড়ুন: Sovandeb Chatterjee: ভাইফোঁটা নিলেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, দেখুন ভিডিয়ো
এর আগেও সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে সিবিআই সূত্রে খবর, প্রতিটি প্রশ্ন হ্যাঁ, না, জানি না বলে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। সিবিআই এবং ইডির দাবি, পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা সুকন্যার সম্পত্তি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা টাকা ২০১৫ সালের পরে অস্বাভাবিক গতিতে বেড়েছে। বোলপুরের ‘ভোলে ব্যোম’ চালকল ছাড়াও দু’টি সংস্থার তিনি ডিরেক্টর। ব্যাঙ্কে রয়েছে কোটি টাকার বেশি মেয়াদি জমা। এই সমস্ত সম্পত্তির উৎস কী, প্রাথমিক শিক্ষিকা হয়ে কীভাবে তাঁর এত সম্পত্তি হল, সে সমস্ত বিষয়ে যাবতীয় নথি জানতে চেয়ে এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড প্রাইভেট লিমিটেডেকে দিনকয়েক আগে সিবিআই নোটিস দেয়। সেবারও হাজিরা এড়িয়েছেন সুকন্যা।