কলাইকুন্ডা: কৃষক বনাম গজানন। হাতির (Elephant) পাল বনাম দলবদ্ধ চাষীর (Farmer) লড়াই। মনের আনন্দে ধানের (Paddy Field) জমিতে বিচরণ হাতির দলের। অন্যদিকে সারা বছরের অন্নের জোগান পাকা ধান বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা কৃষকদের। মাঝখানে একটি মাঠ। তার দুই প্রান্তে হাতি ও চাষীরা। চাষীদের হাতে বিশাল মশাল, লাঠি। অন্যদিকে শুঁড় নাড়িয়ে হাতির গর্জন। জমি থেকে হাতির পালকে দূরে সরাতে প্রাণপণ লড়ে যাচ্ছেন গ্রামের (Village) খেতমজুর, গরিব কৃষক। সোমবার ও মঙ্গলবার তাড়া খেয়ে কখনও হাতির পাল পিছিয়ে যায়। কখনও চাষীরা পিছিয়ে আসেন। শীতের (Winter) সন্ধ্যায় অন্যরকম লড়াইয়ের সাক্ষী থাকল রাজ্যের বায়ুসেনার ঘাঁটি থাকা কলাইকুন্ডা (Kalaikunda) এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল হয়ে ১০০টি হাতি প্রবেশ করে কলাইকুন্ডা রেঞ্জ এলাকাতে। একদিকে মেদিনীপুর (Midnapore) সদর ব্লক, অন্যদিকে কলাইকুন্ডা রেঞ্জ এলাকার লোকজন। হাতি তাড়াতে জড়ো হন এলাকাবাসী। কলাইকুন্ডা রেঞ্জ এলাকার হুলাপার্টি এই কাজে সফল হয়নি। কলাইকুন্ডার দিক থেকে তাড়া খেয়ে পিছিয়ে গেলে হাতির দল তাড়া খেয়েছে মেদিনীপুর সদরের বাসিন্দাদের কাছে। শেষমেষ জাটিয়ার জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে দলটি। তবে যাওয়ার আগে তারা পাকা ধানে মই দিয়ে অনেককে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। ভৌগলিক দিক থেকে মাঝখানে ছোট জঙ্গল ঘেরা মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও কলাইকুন্ডা কাছাকাছি অবস্থান করে। বুধবার ভোরে ওই হাতির পাল থেকে প্রায় ৫০টি দাঁতাল প্রবেশ করেছে মেদনীপুর সদরের পলাশীয়া এলাকায়। ফলে নতুন করা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সেখানে।
আরও পড়ুন: Swarnakamal Saha: তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। তেমনি চিন্তিত বনদফতরের কর্তারাও। গত দুদিনে ধানের জমির ক্ষতির (Loss) পরিমাণ চরমে গিয়েছে। তাই অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ (Compensation) দেওয়ার ও সেইসঙ্গে হাতি তাড়িয়ে এলাকাকে নিরাপদ করার দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।