ইংল্যান্ড–০ আমেরিকা–০
ব্রাজিল না হয় তাদের টিমে ৯ জন স্ট্রাইকার নিয়ে এসেছে। কিন্তু ইংল্যান্ড টিমেও তো স্ট্রাইকার কম নেই। হ্যারি কেন তো আছেনই। সঙ্গে সুরু থেকেই ম্যাসন মাউন্ট, রহিম স্টার্লিং এবং বুকোয়া সাকা। পরে নামানো হল জ্যাক গ্রিলিশ এবং রহিম স্টার্লিংকেও। ছয় জন স্ট্রাইকার নব্বই মিনিট মাথা কুটেও একটা গোলও করতে পারলেন না। প্রথম ম্যাচে যারা ইরানের বিরুদ্ধে ছয় গোল করেছিল তাদের এভাবে গোলকানা মূর্তি দেখতে খুবই খারাপ লাগছিল। এই ম্যাচের আগে ইরান আবার দু গোলে হারিয়ে দিয়ে বসে আছে ওয়েলশকে। তার মানে বি গ্রুপে যা দাঁড়াল তাতে ইংল্যান্ড যদি শেষ ম্যাচে অপ্রত্যাশিতভাবে ওয়েলশের কাছে হেরে না যায়, তাহলে তারা চলে যাবে প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে। কারণ দুই ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট পেয়ে ওয়েলশের বিদায়ের ঘণ্টা প্রায় বেজেই গেছে। আমেরিকা শুক্রবার ভাল খেলে ইংল্যান্ডকে রুখে দিল বটে। কিন্তু তাদেরও তো পয়েন্ট দুই খেলে মাত্র দুই। এখন যা অবস্থা শেষ ম্যাচে আমেরিকা আর ইরানের খেলার ফলের উপর দাঁড়িয়ে রইল বি গ্রুপের ভাগ্য। ইরান যেভাবে দুর্দান্ত কামব্যাক ঘটাল তাতে আমেরিকার ভাগ্যে কী আছে কে জানে!
তবে তার আগে আমেরিকা যেভাবে দাপিয়ে বেড়াল সারাক্ষণ তাতে ক্রিশ্চিয়ান পালিসিচরা গর্ব করতেই পারেন। ইংল্যান্ড ফিফা র্যাংকিংয়ে পাঁচ নম্বরে। এবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার। তাদেরকে শুধু রুখেই দিল না আমেরিকা, ভাগ্যের একটু সহায়তা পেলে জিতেও জিতে পারত। ইংল্যান্ডের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তাদের টিমে একজন ভাল গেমমেকার নেই, যিনি টিমটাকে খেলাতে পারবেন। একজন স্টিফেন জেরার বা ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের মতো কোনও গেমমেকার নেই। নেই ডেভিড বেকহ্যামের মতো সেট পিস থেকে গোল করার লোক। বড্ড কেজো ফুটবলারে ভর্তি টিমটা। ভাত বেড়ে দিলে খেতে পারে স্ট্রাইকাররা। নিজে ভাত বেড়ে খেতে পারার লোক কোথায়? তাই এদিন কে কটা শট মারল বা হেড নিল তার বিবরণ দিয়ে লাভ নেই। মোদ্দা কথা হল, ইংল্যান্ড এদিন যা খেলল সেই খেলা চালিয়ে গেলে তাদের আবার ট্রফি ছাড়াই বাড়ি ফিরতে হবে। গ্যারেথ সাউথগেটের ছেলেরা কি ২৯ নভেম্বর গ্যারেথ বেলদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে পারবেন?