হাওড়া: নোটিস পাওয়ার পরেও গঙ্গার ধারে হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এলাকায় এত হোটেল, রেস্তরাঁ চলছে কী করে, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে জানতে চাইল পরিবেশ আদালত। পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত জানান, ২০০৭ সালে ৩ সেপ্টেম্বর ন’টি হোটেল ও রেস্তরাঁকে উঠে যাওয়ার জন্য নোটিস দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই নোটিস কার্যকর হয়নি। ওই নোটিসকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ওই দোকানগুলি সমস্ত বর্জ্য গঙ্গায় বা নদীর পাড়ে ফেলে চলেছে। শুধু তাই নয় হোটেলগুলি বহাল তবিয়তে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সুভাষ জানান, এর ফলে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি হাওড়া স্টেশন চত্বরে এবং ফেরি চলাচলের ক্ষেত্রেও মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
ওই মামলায় হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছিল। কারণ ওই সমিতি কার্যত গঙ্গার উপরেই শৌচালয় বানিয়েছে। সেখানে প্রচুর আবর্জনা জমে থাকে। সুভাষ দত্ত তাঁর অভিযোগের সপক্ষে অনেক ছবিও আদালতে পেশ করেন। সেগুলি দেখার পরেই আদালত স্টেশন লাগোয়া হোটেলগুলিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু তার পরেও দেখা গিয়েছে হোটেলগুলি সরে যাওয়া তো দূরের কথা, বরং তারা আরও জাঁকিয়ে বসেছে।
আরও পড়ুন: হাড় হিম করা সন্ত্রাস চালাচ্ছেন রাজ্যপাল, বিস্ফোরক অভিযোগ ব্রাত্যর
নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এই হোটেলগুলির জন্য সংলগ্ন এলাকা দিয়ে যাতায়াত করা দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে। হোটেলগুলি যে বর্জ্য ফেলে, তার দুর্গন্ধে যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এতে পরিবেশও দূষিত হয়। সাধারণ মানুষেরও অসুবিধে হয়।